বরগুনায় স্ত্রীর করা মামলায় পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কারাদণ্ড

স্ত্রীর করা মামলায় বরগুনা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর নাম মো. সাইফুল ইসলাম শিপন (৪৫)। তিনি বরগুনা পৌরসভায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও তত্ত্বাবধায়ক পানি) পদে দায়িত্বরত আছেন। যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় তাকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে ২০১৪ সালে মো. সাইফুল ইসলাম শিপন আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন সাইফুল। চার বছর আগে ঘর নির্মাণের জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা আনতে স্ত্রীকে বাধ্য করেন তিনি। পরে গত বছর আবারও ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ভুক্তভোগী তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হয়। এরপর আদালতে মামলা করলে

বরগুনায় স্ত্রীর করা মামলায় পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কারাদণ্ড

স্ত্রীর করা মামলায় বরগুনা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর নাম মো. সাইফুল ইসলাম শিপন (৪৫)। তিনি বরগুনা পৌরসভায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও তত্ত্বাবধায়ক পানি) পদে দায়িত্বরত আছেন। যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় তাকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে ২০১৪ সালে মো. সাইফুল ইসলাম শিপন আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন সাইফুল। চার বছর আগে ঘর নির্মাণের জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা আনতে স্ত্রীকে বাধ্য করেন তিনি। পরে গত বছর আবারও ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ভুক্তভোগী তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হয়। এরপর আদালতে মামলা করলে তদন্ত শেষে আদালত মামলা প্রমাণিত হওয়ায় সাইফুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।

এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওয়াসী মতিন জাগো নিউজকে বলেন, এই রায় আইনগতভাবে সঠিক হয়নি। বাদী দীর্ঘদিন বাবার বাসায় বসবাস করছেন, বাদীর সঙ্গে আসামির দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে একটি কাল্পনিক মামলা করেছে। এই মামলায় শুধু বাদী, তার বাবা ও মা সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাইরের কোনো লোকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। আমার মক্কেল সম্পূর্ণ নির্দোষ, এই মামলায় তার খালাস পাওয়ার কথা। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রনজুয়ারা সিপু জাগো নিউজকে বলেন, যৌতুক দাবি করে স্ত্রীকে নির্যাতনের দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী বিচারক দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ডের রায় দেন। আসামি বর্তমানে জেলহাজতে আছে।

নুরুল আহাদ অনিক/এমএন/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow