বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য এখনো বাড়ি ভাড়া করা হয়নি। বসার মতো কোনো জায়গা এখনো তৈরি হয়নি। তবে এরই মধ্যে ভিসি (ভাইস চ্যান্সেলর) নিয়োগের পর প্রথম পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দ মিলেছে।
গত ১৮ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বাজেট-১ অনুবিভাগ বাজেট-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শাহরিয়ার জামিল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’-এর অনুকূলে ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে।
ওই সূত্রে জানানো হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আওতায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্ত ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীন ‘১২৫০১-১৩১০০৫২০১-বিশ্ব বিদ্যালয়সমূহ’ এর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে মোট চার কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কালবেলাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য বাড়ি ভাড়া এখনো করা হয়নি। বসার মতো কোনো জায়গা এখনো হয়নি। যে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে তা বিভিন্ন খাত অনুযায়ী ছাড় হবে। এই বরাদ্দ থেকে বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে বেতন ভাতাসহ আর্থিক অন্য সব কাজ করা হবে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা কালবেলাকে জানান, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো অনেক কাজ বাকী রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ মিলেছে। ভবিষ্যতে আরও বরাদ্দ আসবে।
এর আগে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে।
অবশেষে আইন পাশের দুই যুগ পর বগুড়ায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন পূরণ হলো। গত ৩ জুন প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহানকে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি হিসেবে যোগদান করেন।
এর আগে বগুড়ার ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটেকে (ভিটিটিআই) অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে এটি হতে পারে অস্থায়ী ক্যাম্পাস।