অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আয়তন বৃদ্ধি ও নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুই প্রান্তে অসংখ্য যানবাহন আটকে যানজট দেখা দেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রায় ২৫ দিন ধরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কোনো প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যার কারণে তারা মহাসড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, কীর্তনখোলা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ বছরেও শ্রেণিকক্ষ সংকট কাটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭টি অনুষদে ২৫টি বিভাগের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রয়োজন অন্তত ৭৫টি কক্ষ। কিন্তু আছে মাত্র ৩৬টি। কক্ষ সংকটের কারণে অনেক সময় খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকসংকটের কারণে অধিকাংশ বিভাগে সেশনজট বাড়ছে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও গড়ে ওঠেনি। নানা সংকটের মধ্যেই পড়াশোনা চালিয়ে নিতে হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আবাসন, পাঠদান কক্ষ, শিক্ষক, পরিবহন ও গ্রন্থাগারে বইয়ের সংকট প্রকট। এর মধ্যে বেশি ভোগাচ্ছে পাঠদান কক্ষ সংকট। অবকাঠামোগত সংকটে শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িতে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাই দ্রুত সংকট দূর না করলে রাজপথ ছাড়বো না।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। পটুয়াখালীর সখিনা বেগম বলেন, পেটের ব্যথার চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অবরোধের কারণে চরম ভোগান্তিতে রয়েছি। কীভাবে বাড়ি ফিরবো বুঝে উঠতে পারছি না।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, তিন দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
শাওন খান/এমএন/এমএস