বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২

11 hours ago 7

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত ভোলা-বরিশাল সড়কে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির তেমন কোন তৎপর ছিল না। তবে প্রক্টর জানিয়েছেন, তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১২তম ব্যাচের একদল শিক্ষার্থী নবনির্মিত বিটাক ভবনের মাঠে মার্কেটিং বিভাগের দশম ব্যাচের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফয়সালের সঙ্গে ফুটবল খেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পরেন। একপর্যায়ে ফয়সাল ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। পরে তিনি বিষয়টি নিজের ব্যাচের গ্রুপে জানালে কয়েকজন মাঠে গেলে তাদের মারধর করা হয়।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ জানান, আমরা গ্রুপে একটা মেসেজ দেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ফয়সালকে মারধর করা হচ্ছে। এ সময় তাকে ছাড়াতে গেলে আমাকেও ঘিরে রাখা হয়। পরে আমি জুতা রেখে সেখান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে আসি।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় বসার জন্য প্রস্তুত।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, দুইবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তাদের প্রথমে থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পরে আবারও মারামারি ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা পরে রাতে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। অন্যদিকে বিটাক ভবনে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে বিটাক ভবনের দিকে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা গেলে পুনরায় দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আহত ১২ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে ঘটনাস্থলে দুই বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডির শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শাওন খান/এনএইচআর

Read Entire Article