বরিশালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের বহুল প্রতীক্ষিত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে বরিশালে দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। কর্মবিরতি শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরবর্তী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিএমটিএ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি হাসান মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান শিপলু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কিবরিয়া টিপু, সদস্য ইমতিয়াজ সোবাহান, জাহিদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম লিটনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বক্তারা বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, সচিবালয় ক্লিনিক, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বঙ্গভবন মেডিকেল সেন্টার, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত ইনস্টিটিউ

বরিশালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের বহুল প্রতীক্ষিত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে বরিশালে দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। কর্মবিরতি শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরবর্তী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিএমটিএ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি হাসান মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান শিপলু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কিবরিয়া টিপু, সদস্য ইমতিয়াজ সোবাহান, জাহিদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম লিটনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বক্তারা বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, সচিবালয় ক্লিনিক, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বঙ্গভবন মেডিকেল সেন্টার, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা বছরের পর বছর ধরে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা জানান, অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীরা যেমন— ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা এরই মধ্যে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত হলেও, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা এখনো সেই ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। ফলে স্বাস্থ্য খাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি পেশার কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। নেতারা বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্তু বারবার দাপ্তরিক উপস্থাপন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন, আবেদন-নিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট বিধি শাখার সব শর্ত পূরণ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত হয়নি। এতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের সদিচ্ছার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অযৌক্তিক অজুহাতের কারণে বিষয়টি ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘসূত্রতা করা হচ্ছে। এর ফলে তারা আর্থিক, সামাজিক ও পেশাগতভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। সমাবেশ শেষে নেতারা স্পষ্টভাবে জানান, দ্রুত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে সারা দেশব্যাপী আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow