বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবির ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আনন্দ র্যালি, কেক কাটা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে র্যালি শুরু হয়। এরপর কাটা পাহাড় সড়ক হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়। এ সময় র্যালিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্ল্যাকার্ড হাতে অংশ নিতে দেখা যায়। আনন্দ র্যালি শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে কেক কাটেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান। আলোচনা সভায় চাকসুর সাবেক ভিপি এস এম ফজলুল হক বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। আমরা এমন একটি বিদ্যাপীঠ পেয়েছি যেখানে আনিসুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রশিদ চৌধুরী, অধ্যাপক ইউনূস, জামাল নজরুল ইসলামের মতো মহান শিক্ষকরা ছিলেন। আমাদের সময় প্রশাসনকে বিভিন্ন কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছিলাম কিন্তু আমরা সেসব পরিবর্তন করতে পারিনি। ২০২৪ সালে
বর্ণাঢ্য আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আনন্দ র্যালি, কেক কাটা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে র্যালি শুরু হয়। এরপর কাটা পাহাড় সড়ক হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়।
এ সময় র্যালিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্ল্যাকার্ড হাতে অংশ নিতে দেখা যায়। আনন্দ র্যালি শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে কেক কাটেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান।
আলোচনা সভায় চাকসুর সাবেক ভিপি এস এম ফজলুল হক বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। আমরা এমন একটি বিদ্যাপীঠ পেয়েছি যেখানে আনিসুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রশিদ চৌধুরী, অধ্যাপক ইউনূস, জামাল নজরুল ইসলামের মতো মহান শিক্ষকরা ছিলেন। আমাদের সময় প্রশাসনকে বিভিন্ন কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছিলাম কিন্তু আমরা সেসব পরিবর্তন করতে পারিনি। ২০২৪ সালে যারা রক্ত দিয়েছেন তাদের ত্যাগ আমাদের নতুন দিশা ও শক্তি দিয়েছে।
চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ এমন এক পর্যায়ে এসেছে যেখানে শুরু হয়েছিল মাত্র ৪টি বিভাগ দিয়ে এখন বিভাগ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৬০ বছর পার হলেও সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। আবাসিক হলগুলোতে মাত্র ৬ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা, অথচ হলের বাইরে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থী থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, যাদের অনেকেরই নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা নেই। আমাদের গবেষণা খাতে ভর্তুকি বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষ শিক্ষক ও গবেষক রয়েছে তবে বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে উন্নয়ন ধীরগতি পাচ্ছে। আমাদের অ্যালামনাইরা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভাবা উচিত এবং আবাসিক হল নির্মাণে সহযোগিতা করা উচিত। দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা সংস্কারমূলক কাজ হাতে নিয়েছি, যার ফল ৪-৫ বছরের মধ্যে দেখা যাবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে হবে তবেই বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত এবং জাতির আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, যে-সব রাষ্ট্র পৃথিবীর বুকে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে কাজ করছে, বাংলাদেশ এখনো তাদের পর্যায়ে যেতে পারেনি। শত বাধা বিপত্তি পরেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে জ্বলজ্বল করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তৈরি হয়েছে নোবেল বিজয়ী, দেশবরেণ্য, খ্যাতনামা সব ব্যক্তিত্ব যারা দেশ বিদেশে অবদান রেখেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে সবসময় এক তৃতীয়াংশ বাজেট পেয়ে থাকে। যথাযথ ফান্ডের ব্যবস্থা হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সোহেল রানা/কেএইচকে/এএসএম
What's Your Reaction?