আগামীতে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য আর মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হবে না বলে সাংবাদিকের আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মহানগর উত্তর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গত ৪ নভেম্বর মহানগর উত্তর বিএনপির ছয় সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, বিএনপির দীর্ঘ আন্দোলন এবং জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছি, দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- গণমাধ্যম স্বাধীন। আপনারা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরবেন। এর জন্য ভবিষ্যতে আর কখনোই হামলা-মামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হবে না আপনাদের।
তিনি বলেন, আমরা আর অপরাজনীতি দেখতে চাই না। গত ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষই রাজপথে ছিলেন না, সাংবাদিকরাও এই লড়াইয়ে ছিলেন। সাহসিকতার সঙ্গে রাজপথে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করেছেন, একইভাবে আগামী দিনেও থাকবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার হাসিনা সরকার নানা কায়দায় গণমাধ্যমের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। তারা বলে দিয়েছিল- কোন নিউজ করা যাবে, কোন নিউজ করা যাবে না। ফ্যাসিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, মসজিদের ইমামকেও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল- তিনি কী পড়বেন, কী পড়বেন না। আওয়ামী লীগ যা করেছে, আমরা তা করব না। নতুন করে আবার কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠুক কিংবা ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে আসুক- এটা আমরা চাই না।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।
এ সময় মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এসএম জাহাঙ্গীর, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফউদ্দীন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজসহ উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল, শ্রমিক দলসহ অন্য সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।