যৌন হয়রানি, সমকামিতা ও শিক্ষার্থী হেনস্তাসহ নানা অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তবে বহিষ্কারের পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তার নাম ও ছবি সরানো হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ইনডেক্সে হাফিজুল ইসলামের নাম। বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকের মতো বহিষ্কৃত এই শিক্ষকের ছবি ও নাম-পরিচয় এখনো দৃশ্যমান।
বহিষ্কারের প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেলেও ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান ছবি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এতদিন ধরে আন্দোলন করলাম, শিক্ষক বহিষ্কারও হলো অথচ ওয়েবসাইটে তার নাম, পদবি, ছবি এখনো বিভাগের শিক্ষক তালিকায় রাখা আছে। এটা শুধু দুঃখজনক না, অগ্রহণযোগ্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন গাফিলতি আমরা মেনে নিতে পারি না। অবিলম্বে এ তথ্য সংশোধন করে স্বচ্ছতা ও সুনামের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ড. শাহজাহান আলীকে একাধিকবার কল দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে একই সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট ড. নাঈম মোরশেদকে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তিনিও কল রিসিভ করেননি।
গত ৩১ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮তম (সাধারণ) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে হাফিজুল ইসলামের কর্মকাণ্ড ‘চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি’ বিবেচনায় তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভায় তার একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিল করে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করে তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
ইরফান উল্লাহ/এসআর/জিকেএস