বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলছিল তখন। উত্তাল ১৮ জুলাই বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও লেখক মো. হারুন-উর-রশীদ আসকারী। ২৪ জুলাই থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। বেশি দিন হয়নি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হারায় আওয়ামী লীগ। ফলে সদ্য যোগদান করা এই ডিজির পদত্যাগ চাইছেন অনেকেই।
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে চারদিকে যখন পদত্যাগের হিড়িক। সে সময়ে কবি-লেখকরাও চাইছেন বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) পদত্যাগ করবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তারা মহাপরিচালকের পদত্যাগ দাবি করে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছেন। যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে আন্দোলনের কথাও লিখেছেন তারা।
কবি ও সম্পাদক হাসান ইমতিয়াজ লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনার দাস বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক রাশিদ আসকারীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পদত্যাগপত্র জমা না দিলে যে কোনো দিন ছাত্র-জনতা ও কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে বাংলা একাডেমি ঘেরাও করা হবে। বৈষম্যবিরোধী কবি লেখক শিল্পী ডায়াসের পক্ষে হাসান ইমতিয়াজ, কবি।’
কবি ও ছড়াকার আহমেদ ইসহাক লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনার দাস বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক রাশিদ আসকারীকে বাংলা একাডেমিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। অতিসত্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা না দিলে ছাত্র-জনতা ও কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে বাংলা একাডেমি ঘেরাও করা হবে।’
আরও পড়ুন
- ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও শহর পরিষ্কারে প্রশংসিত শিক্ষার্থীরা
- রাষ্ট্র মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতা সজাগ থাকবে
কবি ও সাংবাদিক পলিয়ার ওয়াহিদ লিখেছেন, ‘খুনী হাসিনার দাস বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক রাশিদ আসকারীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পদত্যাগপত্র জমা না দিলে যে কোনো দিন ছাত্র-জনতা ও কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে বাংলা একাডেমি ঘেরাও করা হবে। বৈষম্যবিরোধী কবি লেখক শিল্পী ডায়াসের পক্ষে পলিয়ার ওয়াহিদ, কবি।’
কবি সাইয়েদ জামিল লিখেছেন, ‘আগামীকাল ১১ আগস্ট সকাল ১১টার মধ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগকৃত বাংলা একাডেমির অযোগ্য মহাপরিচালক রশীদ আসকারীকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা এবং সাংস্কৃতিককর্মীরা সম্মিলিতভাবে বাংলা একাডেমি ঘেরাও করে সংবাদ সম্মেলন করবো এবং তাকে বাংলা একাডেমিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবো।’
বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা সরকার আমিন লিখেছেন, ‘বাংলা একাডেমি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠিত, শহীদ মিনারের পরই মানুষ এই প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসে। বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক আশা করি বাস্তবতাকে স্বীকার করে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন। এবং তাঁর মহাপরিচালক পদে থাকার প্রশ্নে অনিবার্য করণীয়টুকুর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং প্রকাশ করবেন। একাডেমির একজন সিনিয়র কর্মচারী হিসেবে এই অনুরোধ করলাম। বাংলা একাডেমি সকলের প্রাণের প্রতিষ্ঠান—আমরা সবাই তা সব সময় মনে রাখি।’
এসইউ/এএসএম