বাংলাদেশ ও পৃথিবীব্যাপী গ্যাসের বিস্তার বন্ধের দাবিতে নৌ র্যালি
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকলেও, গ্যাসকে ‘পরিচ্ছন্ন’ বিকল্প হিসেবে প্রচার করা গ্লোবাল সাউথের জন্য মারাত্মক হুমকি— এমন বিবেচনায় গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কর্মদিবস আয়োজন করা হয়েছে।গতকাল দেশের ৯টি নদীতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এ উপলক্ষে নৌবহরের আয়োজন করে।এ কর্মসূচিতে জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন। বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী, মংলার পশুর নদী, বরগুনার বুড়িশ্বর নদী, তালতলীর পায়রা নদী, পাথরঘাটার বিষখালী নদী, কলাপাড়ার আন্দারমানিক নদী, কুতুবদিয়া সাগর চ্যানেল, পেকুয়ায় বঙ্গোপ সাগরের মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেল ও হবিগঞ্জে খোয়াই নদীতে নৌবহরের মাধ্যমে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে ভরে ওঠা এসব নৌবহরে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির পক্ষে বার্তা তুলে ধরা হয়। এ সময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন,ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) বরগুনা শাখার সদস্য সচিব মুশফিক আরিফ, ধরা'র সদস্য মোস্তাক আহমেদ, ওয়াটারকিপার্স বাংল
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকলেও, গ্যাসকে ‘পরিচ্ছন্ন’ বিকল্প হিসেবে প্রচার করা গ্লোবাল সাউথের জন্য মারাত্মক হুমকি— এমন বিবেচনায় গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কর্মদিবস আয়োজন করা হয়েছে।গতকাল দেশের ৯টি নদীতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এ উপলক্ষে নৌবহরের আয়োজন করে।এ কর্মসূচিতে জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন।
বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী, মংলার পশুর নদী, বরগুনার বুড়িশ্বর নদী, তালতলীর পায়রা নদী, পাথরঘাটার বিষখালী নদী, কলাপাড়ার আন্দারমানিক নদী, কুতুবদিয়া সাগর চ্যানেল, পেকুয়ায় বঙ্গোপ সাগরের মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেল ও হবিগঞ্জে খোয়াই নদীতে নৌবহরের মাধ্যমে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে ভরে ওঠা এসব নৌবহরে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির পক্ষে বার্তা তুলে ধরা হয়।
এ সময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন,ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) বরগুনা শাখার সদস্য সচিব মুশফিক আরিফ, ধরা'র সদস্য মোস্তাক আহমেদ, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান উৎস। শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহন খাতে অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়ছে। বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূষিত বর্জ্য পায়রা নদীতে ফেলানোর কারণে নদীতে ইলিশ মাছ কমে যাচ্ছে। এছাড়াও নির্গত কালো ধোঁয়ায় সওদাগপাড়া সবজি পল্লী ও টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জীববৈচিত্র্যসহ এলাকার মানুষের কৃষি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। তাই অবিলম্বে এই কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধসহ বাংলাদেশের সকল কয়লাভিত্তক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে হবে। একইসাথে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে আমরা যাতে টিকে থাকতে পারি সেই উদ্যেগ গ্রহণ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান এবং একই সাথে বাংলাদেশ ও পৃথিবীব্যাপী গ্যাসের বিস্তার বন্ধ করতে হবে।
What's Your Reaction?