সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে এই অঙ্ক ছিল ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ আর্থিক হিসাব অনুযায়ী ট্রেজারি বিল-বন্ড ও সরকারকে দেওয়া সুদের কারণে মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। খরচ ও কর বাদ দিয়ে নিট মুনাফা নির্ধারণ করা হয়।
বোর্ড সভায় অনুমোদন: মঙ্গলবার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪৪৩তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় এই হিসাব অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে একজন ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বছর আগের তুলনায় বেশি মুনাফা হয়েছে। নিট মুনাফার পুরো অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
গত অর্থবছরে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছিল ১০ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। এবার সেই পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কর্মকর্তাদের ইনসেনটিভ বোনাস: সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিট মুনাফার অংশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মৌলিক বেতনের ছয় গুণ ইনসেনটিভ বোনাস দেওয়া হবে।
ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি: বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা প্রতি বছরই বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিট মুনাফা ছিল ১০ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা। পরের বছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নিট মুনাফা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকদের মতে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা, ট্রেজারি বিল ও বন্ড থেকে আয় এবং মুদ্রানীতি ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
ইএআর/এমআইএইচএস