বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সম্প্রদায়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেছে।
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত ‘ভিলুনথেরি ফেস্ট ২০২৫’-এ এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। মেলায় মালদ্বীপের সরকারি ও বেসরকারি সব অংশীদার একত্রিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দ্বীপরাষ্ট্রটিকে একটি সহনশীল জাতিতে রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে অংশ নেয়।
রোববার (১৯ অক্টোবর) মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মেলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশেষ বার্তা পৌঁছে দেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি মালদ্বীপের দুর্যোগ সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা এবং বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্প্রদায়ভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে উদ্বোধন করা হয় ‘হুশিয়ারু’ নামের একটি জাতীয় সচেতনতা ওয়েবসাইট। এতে মালদ্বীপে কর্মরত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলা ভাষা সংযোজন করা হয়েছে। হাইকমিশনার জানিয়েছেন, এ অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন
জাতিসংঘের প্রতিবেদন: জলবায়ু পরিবর্তনে দারিদ্র্যে ভুগছে ১১০ কোটি মানুষ
আগামীর নিরাপদ খাদ্যে টেকসই কৃষির গুরুত্ব
দুর্যোগ পরিস্থিতিতে প্রতি পাঁচজনে একজন মানসিক রোগে আক্রান্ত হন
‘হুশিয়ারু’ প্রচারণাটি জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এবং মালদ্বীপিয়ান রেড ক্রিসেন্টের (এমআরসি) যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সাধারণ মানুষকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম করা। উদ্যোগটি মালদ্বীপ সরকারের ‘একটি দুর্যোগ সহনশীল মালদ্বীপ গড়ে তোলা’ জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার নাজমুল এনডিএমএ, ইউএনডিপি মালদ্বীপ এবং ইউনিসেফ মালদ্বীপকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সম্প্রদায়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা মালদ্বীপের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রায় ৫৪ শতাংশ দুর্যোগসংক্রান্ত উদ্যোগ অবৈধ সাব-এজেন্টদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যা খাতটিকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কাঠামোর আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট করে।
মেলায় ২০টিরও বেশি সরকারি ও বেসরকারি অংশীদার প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। যেখানে সব বয়সের মানুষ দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ে অংশ নেওয়া ও শিক্ষা লাভের সুযোগ পান।
জেপিআই/একিউএফ/জেআইএম