বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অষ্টম ল্যান্ড ফোর্সেস টকসের সফল সমাপ্তি

4 hours ago 4

ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ৩০-৩১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অষ্টম ল্যান্ড ফোর্সেস টকস (এলএফটি) শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

আইএসপিআর জানায়, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনায় ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে, যার নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের (ইউএসএআরপিএসি) স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড প্ল্যানস বিষয়ক ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল মেজর জেনারেল স্কট এ. উইন্টার।

এই আলোচনা পর্বে উভয়পক্ষই সামরিক সহযোগিতা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কৌশলগত সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।

jagonews24

আলোচনায় উভয়পক্ষের মধ্যে প্রশিক্ষণ আদান-প্রদান, উন্নত প্রযুক্তি ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পারিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিশেষ করে, সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একাধিক যৌথ প্রশিক্ষণ ও মহড়ার আয়োজন, উদ্ভাবনী প্রশিক্ষণ পদ্ধতি এবং অধিকতর কার্যকর যৌথ সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রতিনিধিরা উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান কৌশলগত সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার জন্য তাদের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এবং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রস্তুতি গ্রহণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে উভয়পক্ষ একমত পোষণ করে। আলোচনায় নানাবিধ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা ভবিষ্যতে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সেনাবাহিনী এবং সামরিক কৌশলের ক্ষেত্রে এই ধরনের বৈঠক উভয় দেশের প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধনের পথ সুগম করবে।

টিটি/ইএ

Read Entire Article