বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কি দেখা যাবে নতুন উত্তেজনা?

4 months ago 60

বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ সামনে এলেই একটা অন্যরকম বাতাবরণ তৈরি হতো। সেটা যতটা খেলার মাঠে, তার চেয়ে বেশি গ্যালারিতে ও ভক্তদের মাঝে। এমন ম্যাচের পুরোটাই ছিল উত্তেজনার বারুদে ঠাসা। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে একটু উত্তেজনার সৃষ্টি হলেই তা আছড়ে পড়তো গ্যালারিতে। সেই উত্তেজনা আরও জেঁকে বসতো ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামির বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচ হওয়া নিয়ে কী কাণ্ডই না ঘটেছিল। ফিল্ডার শিখর ধাওয়ানের পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করেছে বলে অভিযোগ ছিল বাংলাদেশিদের।

একইভাবে বাংলাদেশ পেসার রুবেল হোসেনের বলে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার আউট হওয়ার পর আম্পায়ার ‘নো বল’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত, তা নিয়েও তৈরি হয় বড় ধরনের উত্তেজনা।

ওই দুই ঘটনার রেশ ছিল অনেকদিন। এরপর যতবার বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হয়েছে, ততবারই ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে একটা উত্তেজনাময় পরিস্থিতির উদ্রেক ঘটেছে। ভারতের বিপক্ষে খেলা হলেই দুই দেশের ভক্তদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা যুদ্ধাংদেহী অবস্থা বিরাজ করতো।

সময়ের প্রবাহে সেটা গিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। শুধু ভক্ত-সমর্থকদের মাঝেই নয়, বাঘ ও সিংহর লড়াইয়ে মাঠেও বড় ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই দলের ক্রিকেটাররাই ম্যাচে অনেক বেশি আবেগতাড়িত থাকেন। উত্তেজনার সৃষ্টি হয় অনেক বেশি।

এই ধরনের ঘটনা প্রথম ঘটেছে ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে। বাংলাদেশের নাগিন ড্যান্সের পাল্টা জবাব দিয়ে মাঠে উত্তেজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে লঙ্কান ক্রিকেটাররা। পরিস্থিতি বেশ চরম আকার ধারণ করেছিল। তারপর থেকেই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ম্যাচ মানেই মাঠে দুই দলের ক্রিকেটারদের বাড়তি আবেগ ও উত্তেজনা।

শেষ উত্তেজক পরিস্থিতির উদ্রেক ঘটলো গত বছর বিশ্বকাপে। ঘটনার সূত্রপাত লঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের টাইমড আউট হওয়া নিয়ে। ম্যাথিউস মাঠে নামেন নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করার পর। উইকেটে গিয়ে গার্ড নিয়ে স্ট্যান্স নেওয়ার আগে হেলমেট আনতে লেগে যায় আরও খানিকটা সময়। আর তখনই বোলার সাকিব আল হাসান টাইমড আউটের আবেদন করেন এবং আম্পায়ার ম্যাথিউসকে আউট ঘোষণা করেন।

সেই ঘটনার জের ধরে আবেগ-উত্তেজনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। ম্যাথিউসের মতো নামী ও বড় অলরাউন্ডারের বিপক্ষে টাইমড আউটের আবেদন করে তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন সাকিব। এতে রীতিমতো রাগ-ক্ষোভে ফেটে পড়েন লঙ্কানরা।

তারপর যতবার বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়েছে, প্রতিবার সেই টাইমড আউট নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনার। বাংলাদেশে খেলতে এসেও লঙ্কান ক্রিকেটাররা প্রতীকি টাইমড আউটের আবেদন করে ক্ষোভ ঝাড়েন।

এখন দেখার বিষয়, আগামীকাল শনিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপেও দুই দলের ক্রিকেটারদের মাঝে কোনো উত্তেজনার সৃষ্টি হয় কিনা? এবারও কি সেই টাইমড আউট নিয়েই লঙ্কানরা ক্ষোভ প্রকাশ করবেন? নাকি নতুন কোনো ইস্যুতে উত্তেজনার সৃষ্টি হবে, সেটাই দেখার।

এআরবি/এমএইচ/এএসএম

Read Entire Article