বাংলাদেশকে উৎপাদন সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করতে কোরিয়ার প্রতি আহ্বান
বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত উৎপাদন ও বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা সংস্থা কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) প্রেসিডেন্ট চ্যাং ওন-সাম সোমবার (১ ডিসেম্বর) ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার, বিনিয়োগ, দক্ষতা উন্নয়ন ও স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার রাতে এ তথ্য জানান। কোইকা প্রেসিডেন্ট চ্যাং ওন-সাম বলেন, ‘এই দেশে আবার আসতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি প্রেসিডেন্টের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার ও সামগ্রিক উন্নয়ন উদ্যোগের প্রতি কোইকার রাজনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। সফরের জন্য চ্যাং ওন-সামকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশ ও কোরিয়া আরও দ্রুতগত
বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত উৎপাদন ও বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা সংস্থা কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) প্রেসিডেন্ট চ্যাং ওন-সাম সোমবার (১ ডিসেম্বর) ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার, বিনিয়োগ, দক্ষতা উন্নয়ন ও স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার রাতে এ তথ্য জানান।
কোইকা প্রেসিডেন্ট চ্যাং ওন-সাম বলেন, ‘এই দেশে আবার আসতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি প্রেসিডেন্টের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার ও সামগ্রিক উন্নয়ন উদ্যোগের প্রতি কোইকার রাজনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
সফরের জন্য চ্যাং ওন-সামকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশ ও কোরিয়া আরও দ্রুতগতিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
সরকারের অর্থনৈতিক ভিশন তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা কোরিয়ার বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত উৎপাদন ও বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা উৎপাদনকেন্দ্র হতে চাই। আমরা এখানে আপনাদের পণ্য উৎপাদন করে সারাবিশ্বে বিক্রি করতে পারি। আমাদের মানবসম্পদ আছে, সামর্থ্য আছে এবং আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠী কঠোর পরিশ্রমে আগ্রহী।’
মানবকেন্দ্রিক সহযোগিতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টা, বিশেষ করে ভাষা প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা ও দক্ষতা উন্নয়নে। তিনি বাংলাদেশি তরুণদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে দেশে কোরিয়ান ভাষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্প্রসারণে কোইকাকে আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যক্ষেত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নার্সিং প্রশিক্ষণের ওপর আরও জোর দিতে হবে।’
জবাবে কোইকা প্রেসিডেন্ট চ্যাং ওন-সাম দক্ষতা উন্নয়ন ও শিক্ষাখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/একিউএফ
What's Your Reaction?