বাংলাদেশকে দেশ হিসেবে ভালোবাসি: মমতা ব্যানার্জী
বাংলাদেশকে আমি দেশ হিসেবে ভালোবাসি বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া গড় হিসেবে পরিচিত বনগাঁয় তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভা থেকে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বনগাঁর ত্রিকোণ পার্কের সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমেই আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেই। আমার আসতে একটু দেরি হয়েছে, এর পেছনে একটা মজা রয়েছে। মজাটা কী? আমি গত সাত-আট মাস হেলিকপ্টার ব্যবহার করি না। গাড়িতেই জেলায় জেলায় যাই। তবে আজ যেহেতু এখানে একটা সভা রয়েছে, তারপর ঠাকুরনগর যাবো। ঠাকুরনগর থেকে ফিরতে হবে। তাই সরকারের একটা হেলিকপ্টার নেওয়া ছিল। আমার বেরোনোর আগে হঠাৎ খবর এলো, হেলিকপ্টার যাবে না। আমি দেখলাম, দারুণ মজার খবর তো। নির্বাচনই শুরু হলো না, তার মধ্যেই কনফ্রন্টেশন শুরু হয়ে গেলো? তিনি বলেন, কিন্তু ওরা বুঝল না, এতে আমার ভালোই হলো। কারণ, আমি রাস্তায় আসতে আসতে প্রচুর মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি বিজেপিকে বারবার বলি, ওরে, আমার সঙ্গে খেলতে যাস না। আমার সঙ্গে খেলতে গেলে যে খেলাটা খেলবো, সেই খেলায় আমাকে
বাংলাদেশকে আমি দেশ হিসেবে ভালোবাসি বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া গড় হিসেবে পরিচিত বনগাঁয় তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভা থেকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বনগাঁর ত্রিকোণ পার্কের সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমেই আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেই। আমার আসতে একটু দেরি হয়েছে, এর পেছনে একটা মজা রয়েছে। মজাটা কী? আমি গত সাত-আট মাস হেলিকপ্টার ব্যবহার করি না। গাড়িতেই জেলায় জেলায় যাই। তবে আজ যেহেতু এখানে একটা সভা রয়েছে, তারপর ঠাকুরনগর যাবো। ঠাকুরনগর থেকে ফিরতে হবে। তাই সরকারের একটা হেলিকপ্টার নেওয়া ছিল। আমার বেরোনোর আগে হঠাৎ খবর এলো, হেলিকপ্টার যাবে না। আমি দেখলাম, দারুণ মজার খবর তো। নির্বাচনই শুরু হলো না, তার মধ্যেই কনফ্রন্টেশন শুরু হয়ে গেলো?
তিনি বলেন, কিন্তু ওরা বুঝল না, এতে আমার ভালোই হলো। কারণ, আমি রাস্তায় আসতে আসতে প্রচুর মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি বিজেপিকে বারবার বলি, ওরে, আমার সঙ্গে খেলতে যাস না। আমার সঙ্গে খেলতে গেলে যে খেলাটা খেলবো, সেই খেলায় আমাকে ধরতেও পারবে না, ছুঁতেও পারবে না, নাগালও পাবে না।
আরও পড়ুন>>
পশ্চিমবঙ্গে নির্মাণ হচ্ছে নতুন বাবরি মসজিদ, বিজেপির তীব্র প্রতিক্রিয়া
বিহারের পর এবার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ, বিজেপির নেতাদের বঙ্গযাত্রা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে ভারতীয়দের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে মমতা ব্যানার্জী বলেন, দেশভাগের সময়ে কেউ বাংলাদেশে চলে গেলো, কেউ পাকিস্তানে, আবার কেউ ভারতেই রয়ে গেলো। এটা হচ্ছে আমাদের ইতিহাসের পাতা। কাজেই যারা ছোটবেলায় বাংলাদেশি ভাষায় কথা বলে অভ্যস্ত, আজ ভাষাটা সে পরিবর্তন করবে কীভাবে? আমাদের ভাষা বাংলা ভাষা। লেখার ভাষা সবার এক। বলার ভাষা, উচ্চারণ আলাদা। আমি বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেছি, নয়তো আমাকেও এরা বাংলাদেশি বলে দিতো।
তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি দেশ হিসেবে। কারণ আমাদের ভাষা এক। ভৌগোলিক বেড়া রয়েছে, রাজনৈতিক বেড়া রয়েছে, ঐতিহাসিক বেড়া রয়েছে। কিন্তু আপনি বীরভূমে যান, দেখবেন ওদের কথার টান আলাদা। আপনি অশোকনগর, বনগাঁ, বর্ধমান, মালদহ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া যান এদের সবার ভাষাটা না আলাদা? কত রকম ভাষা।
পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। আমি পরিষ্কার বলতে আসছি, আপনারা এখানে যারা আসল ভোটার, আগে ২০২৪ সালে ভোট দিয়েছেন—নরেন্দ্র মোদী ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কোন লিস্টে? ২৪-এর ভোটে। সেই লিস্ট যদি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে তো সরকারও বাতিল হয়ে যাওয়া উচিত। এতদিন এসআইআর করার সুযোগ পেলো না, নির্বাচনের দু’মাসের মধ্যে কাকে বাদ দেবে, কাকে বাদ দেবে না—এইসব ফন্দি। আর এলাকায় গিয়ে ধর্মের নামে ফর্ম বিলি করতে হচ্ছে। এসআইআর করতে তিন বছর সময় লাগে। আমরা এসআইআর-এর বিরোধী নই। কিন্তু কেন দু’মাসে করা হচ্ছে?
মমতা ব্যানার্জী আরও বলেন, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় (এসআইআর) তালিকা বেরোলেই দেখবেন ভয়াবহ অবস্থা! এটা অনুমান করতে পারছি। আমরা ছিলাম, আছি, থাকবো। আমরা থাকতে আপনাদের কেউ তাড়িয়ে দেবে না। নিশ্চিন্তে থাকুন।
ডিডি/কেএএ/
What's Your Reaction?