বাংলাদেশে কি জামায়াতের সরকার ক্ষমতায় আসবে? প্রশ্ন শশী থারুরের

3 hours ago 4
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উল্লেখযোগ্য জয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় কংগ্রেস নেতা ও সাবেক কূটনীতিক শশী থারুর। শিবিরের জয়কে সামনের দিনগুলোর জন্য একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত বলে অভিহিত করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি প্রশ্ন করেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে কি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের জয়ের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে কি না। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থারুর এক্সে একটি পোস্টে এসব কথা বলেন। এক্সে শশী থারুর লিখেছেন, ভারতের বেশিরভাগ মানুষের কাছে এটি (শিবিরের জয়) হয়তো খুব সামান্য একটি ঘটনা হিসেবে মনে হতে পারে। কিন্তু এটি সামনের দিনগুলোর জন্য একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত। থারুর উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল (বর্তমানে নিষিদ্ধ) আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উভয়ের প্রতি জনগণের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আর যারা এ দুটি দলের ওপর বিরক্ত তারা জামায়াতের দিকে ঝুঁকছেন। থারুর লিখেছেন, যারা এই দুই দলের ওপর বিরক্ত, তারা জামায়াতে ইসলামীর দিকে ঝুঁকছে এর কারণ এই নয় যে, ভোটাররা ধর্মান্ধ বা কট্টরপন্থি ইসলামে বিশ্বাসী। বরং জামায়াতে ইসলামী এমন কোনো দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত নয়, যা অন্য দুটি মূলধারার দলের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তারা জামায়াতকে এখনো অন্য দুই দলের তুলনায় একটি পরিচ্ছন্ন দল হিসেবে দেখছেন। তিনি প্রশ্নের সুরে বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে এর কী প্রভাব পড়বে? তখন কি নয়াদিল্লিকে নতুন কোনো বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে যেখানে প্রতিবেশী দেশে জামায়াতের সংখ্যাগরিষ্ঠতার (সরকারের) মোকাবিলা করতে হবে? এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র জোটের ব্যানারে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস) মোট ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে ৯টিতে জয়ী হয়েছে। সহসভাপতি (ভিপি) পদে শিবির নেতা আবু সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল নেতা আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন ৩ হাজার ৮৮৩ ভোট, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাত্র ঐক্য প্যানেলের উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আব্দুল কাদের ১ হাজার ১০৩ ভোট এবং প্রতিরোধ পরিষদের তাসনিম আফরোজ এমি মাত্র ৬৮ ভোট পেয়েছেন।
Read Entire Article