• দেশের জনসংখ্যার ৪১ শতাংশই ফেসবুক ব্যবহারকারী
• অর্ধেকই জেন-জি ব্যবহারকারী, নারীদের দ্বিগুণ পুরুষ
• রাজনৈতিক কাজে সামাজিকমাধ্যমে ব্যবহারকারী বাড়ছে
বাংলাদেশে সম্প্রতি হু হু করে বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত এক বছরে সব ধরনের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীর উপস্থিতি বেশি। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ে শুধু ফেসবুকে ব্যবহারকারী বেড়েছে প্রায় অর্ধকোটি। একই সময়ে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারেও বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেড়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারী বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পর্যবেক্ষকরা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ ‘রাজনীতি’। পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে অবাধে মতপ্রকাশের সুযোগ আগের চেয়ে বেড়েছে। বেড়েছে রাজনৈতিক বিরোধও।
একই সঙ্গে পটপরিবর্তনের পর একটি পক্ষ শুধুই ফেসবুকমুখী প্রচারণায় নেমেছে। রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়িতে সামাজিকমাধ্যম বড় হাতিয়ার হয়ে ওঠায় সব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারী বাড়ছে।
অভ্যুত্থানের পর ব্যবহারকারী বেড়েছে কত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম নেপোলিয়নক্যাটের পরিসংখ্যান বলছে, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী—বর্তমানে বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৯৫ লাখের কিছু বেশি। চলতি বছরের আগস্ট মাসের হিসাব অনুযায়ী—ফেসবুকে বাংলাদেশি ব্যবহারকারী রয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪১ শতাংশ।
ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিলেন ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৭৫ হাজারের কিছু বেশি। সে হিসাবে এক বছরে ফেসবুকে বাংলাদেশি ব্যবহারকারী বেড়েছে ৪৮ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি।
২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিলেন ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৭৫ হাজারের কিছু বেশি। চলতি বছরের আগস্টের হিসাব অনুযায়ী—ফেসবুকে বাংলাদেশি ব্যবহারকারী রয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪১ শতাংশ।—নেপোলিয়নক্যাটের পরিসংখ্যান
একই সময়ে জনপ্রিয় আরেক সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামেও ১৭ লাখ ২১ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী বেড়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশি ব্যবহারকারী ছিলেন ৭৬ লাখ ১৬ হাজারের মতো। চলতি বছরের আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ লাখ ৩৮ হাজারে।
আরও পড়ুন
ফেসবুকে অতিরিক্ত হ্যাশট্যাগ ব্যবহারে লাগাম টানছে মেটা
দেশে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী কমছে
৩০ দিন পর মুছে যাবে ফেসবুক লাইভের ভিডিও
মেটার ম্যাসেজিং অ্যাপ ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারেও প্রায় ৫৭ লাখ ব্যবহারকারী বেড়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে ম্যাসেঞ্জার ব্যবহারকারী ছিলেন ৬ কোটি ১৭ লাখ ৮৪ হাজারের মতো। ২০২৫ সালের আগস্টের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৬ কোটি ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করছেন।
পেশাগত সামাজিকমাধ্যম বিবেচিত হওয়া লিঙ্কডিনেও সাড়ে ১৮ লাখের বেশি ব্যবহারকারী বেড়েছে। বর্তমানে দেশে লিঙ্কডিন ব্যবহারকারী ১ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার। গত বছরের অর্থাৎ, ২০২৪ সালের আগস্টে ব্যবহারকারী ছিলেন ৯০ লাখ ৯৬ হাজারের মতো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারী বাড়লেও সাইবার নিরাপত্তা ক্রমে কমছে বলে মনে করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির। এটি ‘অশনিসংকেত’ উল্লেখ করে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ব্যবহারকারী বাড়ছে, এটিকে নেতিবাচকভাবে দেখার সুযোগ নেই। ইন্টারনেট ব্যবহার এখন বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার। তাহলে নাগরিককে আপনি সামাজিকমাধ্যম কেন ব্যবহার করতে দেবেন না?’
দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ। নারীদের হার ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ইনস্টাগ্রাম ও ম্যাসেঞ্জারে অবশ্য ফেসবুকের চেয়ে নারী ব্যবহারকারী কিছুটা বেশি। তারপরও নারীদের চেয়ে পুরুষের উপস্থিতি প্রায় দ্বিগুণ।— নেপোলিয়নক্যাটের পরিসংখ্যান
‘হ্যাঁ, খেয়াল রাখতে হবে যে, সাইবার সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) কতটা রিডিউস (হ্রাস করা) করা যাচ্ছে; সাইবার জগতে বুলিং, স্লাট শেমিং কতটা ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে? আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে। নিরাপদ সাইবার জগত গড়ে তুলতে হবে’- বলেন তিনি।
নারীদের চেয়ে দ্বিগুণ পুরুষ ব্যবহারকারী
বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় সব মাধ্যমে নারী ব্যবহারকারী কম। পুরুষের আধিক্য দেখা যায়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ম্যাসেঞ্জারে নারীদের চেয়ে পুরুষ ব্যবহারকারী প্রায় দ্বিগুণ।
নেপোলিয়নক্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী—দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ। নারীদের হার ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ইনস্টাগ্রাম ও ম্যাসেঞ্জারে অবশ্য ফেসবুকের চেয়ে নারী ব্যবহারকারী কিছুটা বেশি। তারপরও নারীদের চেয়ে পুরুষের উপস্থিতি প্রায় দ্বিগুণ।
চলতি আগস্ট মাসের হিসাবমতে, ম্যাসেঞ্জারে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ। আর নারী ব্যবহারকারী মাত্র ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ। একইভাবে ইনস্টাগ্রামে নারী মাত্র ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ। আর পুরুষ ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে লিঙ্কডিনে নারী-পুরুষের হিসাব আলাদা করে দেখানো হয়নি।
নারীদের চেয়ে পুরুষ ব্যবহারকারীর ব্যবধান দ্বিগুণ হওয়া প্রসঙ্গে সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে। আমাদের দেশে নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করছে। এখন অনেকে ফেসবুকে রাজনৈতিক প্রচারণা বলেন; আর অপপ্রচার বলেন; সেটা চালাতে ব্যস্ত। সার্বক্ষণিক কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। একজন পুরুষ অনেক ক্ষেত্রে একাধিক আইডি ব্যবহার করছে। নারীরাও যে করছে না তা নয়, তবে নারীদের চেয়ে পুরুষদের এ ধরনের অ্যাক্টিভিটি বেশি।’
জেন-জি ব্যবহারকারী বেশি সব সামাজিকমাধ্যমে
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ম্যাসেঞ্জার ও লিঙ্কডিন—সবগুলো সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে জেন-জিদের উপস্থিতি বেশি। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী মোট ব্যবহারকারীর অর্ধেকের কাছাকাছি। কোথাও জেন-জিদের উপস্থিতি মোট ব্যবহারকারীর অর্ধেকের চেয়েও বেশি।
নেপোলিয়নক্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী—ফেসবুকে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা। মোট ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৩৬ হাজারের মতো ব্যবহারকারীর মধ্যে ৩ কোটি ১৪ লাখেরও বেশি জেন-জি বা ১৮-২৪ বছর বয়সী। শতাংশের হিসাবে যা মোট ব্যবহারকারীর ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ।
এরপর রয়েছে মিলেনিয়ামরা। অর্থাৎ, ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী। শতাংশের হিসাবে এ বয়সীদের উপস্থিতি মোট ব্যবহারকারীর ৩৬ শতাংশ। এছাড়া ৩৫-৪৪ বছর বয়সী ১৩ দশমিক ১ শতাংশ; ৪৫-৫৪ বছর বয়সী ৫ শথাংশ; ৫৫-৬৪ বছরের ১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যবহারকারী ১ শতাংশ।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ম্যাসেঞ্জার ও লিঙ্কডিন—সবগুলো সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে জেন-জিদের উপস্থিতি বেশি। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী মোট ব্যবহারকারীর অর্ধেকের কাছাকাছি। কোথাও জেন-জিদের উপস্থিতি মোট ব্যবহারকারীর অর্ধেকের চেয়েও বেশি
তবে ইনস্টাগ্রামে জেন-জি অর্থাৎ, ১৮-২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী মোট ব্যবহারকারীর ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২৫-৩৪ বছর বয়সী ৩২ দশমিক ২ শতাংশ; ৩৫-৪৪ বছর বয়সী ৮.৩ শতাংশ; ৪৫-৫৪ বছর বয়সী ২ দশমিক ৭ শতাংশ। ইনস্টাগ্রামে ৫৫ থেকে তার বেশি বয়সীদের উপস্থিতি খুবই কম।
ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ১৮-২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী ৪২ দশমিক ১ শতাংশ। এরপর রয়েছে ২৫-৩৪ বছর বয়সীরা। তাদের হার ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া ৩৫-৪৪ বছর বয়সী ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ; ৪৫-৫৪ বছরের ৫ দশমিক ১ শতাংশ; ৫৫-৬৪ বছর বয়সী ১ দশমিক ৯ শতাংশ ব্যবহারকারী রয়েছে।
পেশাগত প্ল্যাটফর্ম লিঙ্কডিনে অবশ্য ২৫-৩৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী বেশি। এ বয়সী ব্যবহারকারী মোট ব্যবহারকারীর ৫১ দশমিক ১ শতাংশ। আর ১৮-২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ৩৫-৫৪ বছর বয়সী ৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ লিঙ্কডিন ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়ছে অপতথ্য, ড. ইউনূস-শেখ হাসিনাকে নিয়ে বেশি
সামাজিক মাধ্যমে গুজব প্রতিহতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাকেন্দ্রিক; এমনকি পারিবারিক তথ্যও জেন-জিরা সবার আগে সামাজিকমাধ্যমে জানাতে বেশি পছন্দ করছে। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিতি নেই—এমন তরুণদের এখন খুঁজে বের করা কঠিন। খুব স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে জেন-জিদের উপস্থিতি বেশি।’
রাজনৈতিক ফায়দা নিতে বাড়ছে সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারী!
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কখনো ‘তথ্য-প্রযুক্তি আইন’, কখনো ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’; কিংবা ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’র মতো কালো আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ ছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনে।
এতদিন যারা মাঠে সরাসরি রাজনীতি বা দমন-পীড়নে জড়িত ছিল, তারা এখন অনেকটা আত্মগোপনে। আবার যারা এতদিন আত্মগোপনে থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতেন, তারা এখন মাঠে। ফলে দুই পক্ষেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার-অপতথ্য ছড়ানোর প্রবণতা আছে।- প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির
পাশাপাশি সাইবার অপরাধের মামলা, জেল-জারিমানাও কমেছে। এতে অবাধে ফেসবুকে সাইবার বুলিং, ভিন্নমতের কাউকে গালিগালাজ, এআই ব্যবহার করে বিকৃত ছবি বানিয়ে হাসি-ঠাট্টা ও সমালোচনা করার প্রবণতা বেড়েছে বলে মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পর্যবেক্ষকরা।
ঢাবি অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ভিন্নমতকে ঘায়েল করার প্রবণতা বেশি। এক ব্যক্তির একাধিক আইডি বা পেজ খোলার যে সুযোগ মেটা দিয়ে রেখেছে, তা ব্যবহার করে অপপ্রচার, অপতথ্য ছড়ানো, মানুষ হয়রানি করার দিকে বেশি ছুটছে বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।’
প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে একটা পরিবর্তন ঘটে গেছে। এতদিন যারা মাঠে সরাসরি রাজনীতি বা দমন-পীড়নে জড়িত ছিল, তারা এখন অনেকটা আত্মগোপনে। আবার যারা এতদিন আত্মগোপনে থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতেন, তারা এখন মাঠে। ফলে দুই পক্ষেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার-অপতথ্য ছড়ানোর প্রবণতা আছে। এতে ব্যবহারকারীও বাড়ছে, সাইবার অপরাধও বাড়ছে।’
এএএইচ/এমকেআর/এমএস