বাংলাদেশের বোলিং কোচ হওয়ার প্রশ্নে যা বললেন শোয়েব

বাংলাদেশের পেস বোলিং নতুন করে আলোচনায়—আর সেই আলোচনার কেন্দ্রে এবার শোয়েব আখতার। বিপিএলের দ্বাদশ আসরে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই গতিতারকা। স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমের সামনে উঠেছে প্রশ্ন—ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পেলে কি রাজি হবেন তিনি? ঢাকায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শোয়েব আখতার স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন নিজের অবস্থান। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি শন টেইটই। শোয়েব বলেন, শন টেইট বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেস বোলিং কোচ। তাঁর উপস্থিতিতে আলাদা করে কাউকে ভাবার প্রয়োজন নেই। টেইটকে তিনি শুধু দক্ষ কোচ নয়, একজন সৎ ও নিবেদিত মানুষ হিসেবেও আখ্যা দেন। শোয়েব আরও জানান, যদি কখনো বাংলাদেশে তাঁর ভূমিকা থাকে, তবে সেটা হবে সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার জায়গা থেকে—‘জনতার চ্যাম্পিয়ন’ হয়ে। তবে কোচিংয়ের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা সময়ের সীমাবদ্ধতা। সুযোগ এলে বিবেচনা করবেন বললেও, আপাতত শন টেইটই যে সেরা সমাধান—সে কথাই বারবার তুলে ধরেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের তরুণ পে

বাংলাদেশের বোলিং কোচ হওয়ার প্রশ্নে যা বললেন শোয়েব

বাংলাদেশের পেস বোলিং নতুন করে আলোচনায়—আর সেই আলোচনার কেন্দ্রে এবার শোয়েব আখতার। বিপিএলের দ্বাদশ আসরে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই গতিতারকা। স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমের সামনে উঠেছে প্রশ্ন—ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পেলে কি রাজি হবেন তিনি?

ঢাকায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শোয়েব আখতার স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন নিজের অবস্থান। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি শন টেইটই। শোয়েব বলেন, শন টেইট বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেস বোলিং কোচ। তাঁর উপস্থিতিতে আলাদা করে কাউকে ভাবার প্রয়োজন নেই। টেইটকে তিনি শুধু দক্ষ কোচ নয়, একজন সৎ ও নিবেদিত মানুষ হিসেবেও আখ্যা দেন।

শোয়েব আরও জানান, যদি কখনো বাংলাদেশে তাঁর ভূমিকা থাকে, তবে সেটা হবে সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার জায়গা থেকে—‘জনতার চ্যাম্পিয়ন’ হয়ে। তবে কোচিংয়ের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা সময়ের সীমাবদ্ধতা। সুযোগ এলে বিবেচনা করবেন বললেও, আপাতত শন টেইটই যে সেরা সমাধান—সে কথাই বারবার তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানাকে নিয়েও কথা বলেন শোয়েব আখতার। তাঁর মতে, নাহিদের সামনে যাওয়ার পথটা পরিষ্কার—নিয়মিত ট্রেনিং, শরীরকে চাপ নেওয়ার মতো তৈরি করা এবং মানসিক দৃঢ়তা ধরে রাখা। শোয়েবের বিশ্বাস, এসব বজায় রাখতে পারলে নাহিদ বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন হয়ে উঠতে পারেন। একই সঙ্গে তাসকিন আহমেদের প্রশংসাও করেন তিনি, বলেন—তাসকিন এখন দারুণ ছন্দে রয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় গুণাবলি তাঁর মধ্যে আছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে নিজের স্মৃতির কথাও স্মরণ করেন শোয়েব। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের হার—সেই ম্যাচে নিজে মাঠে ছিলেন বলে আজও ভুলতে পারেননি। তাঁর ভাষায়, এরপর দুই দেশের ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন বাংলাদেশ সব ম্যাচেই জিততে চায়, আর দেশের মানুষ ক্রিকেটকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।

শোয়েব আখতারের কণ্ঠে শেষ পর্যন্ত ছিল একটাই বার্তা—বাংলাদেশ ক্রিকেট এগোচ্ছে, পেস বোলিং শক্ত হচ্ছে, আর এই অগ্রযাত্রা দেখলে তাঁর ভালো লাগাটাই সবচেয়ে বেশি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow