বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে অস্থিরতা। অবশেষে বিক্ষুব্দ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গতকাল ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই সারা দেশে দেখা যায় হামলা-নাশকতা।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও এইসব হামলার শিকার হয়েছেন। অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস ও লুটপাট করা হয়েছে। প্রাণও হারিয়েছেন অনেকে। যার আতংক চলমান। ফেসবুকে নানা ভিডিও ও পোস্ট করে অনেকেই হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে পরামর্শ দিচ্ছেন। অনেকে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এদিকে হিন্দুদের উপর এই নির্যাতন নজর কেড়েছে বিশ্ব মিডিয়ার। ভারতের অভিনেতা সোনু সুদও বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সোনু এক বাংলাদেশি হিন্দু নারীর ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেই ভিডিওতে নারীকে বলতে শোনা যায়, বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে উত্তেজিত জনতা তাদের বাড়িতে কীভাবে ভাঙচুর চালিয়েছে। তাদের দেশ ছাড়তে বলছে। এই অবস্থায় কতটা নিরাপত্তাহীনতা, অসহায় অবস্থায় রয়েছেন তারা সেটাই বারবার জানিয়েছেন। এটি এদিন শেয়ার করে সোনু লেখেন, ‘আমাদের এবার বিষয়টিতে নজর দেয়া উচিত। বাংলাদেশের হিন্দু যারা একসময় আমাদের নাগরিক ছিল তাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা উচিত। যাতে তারা এখানে ফিরে একটা শান্তির জীবন পায়। এটা শুধু ভারতীয় সরকারের কর্তব্য নয়, একই সঙ্গে এটা আমাদেরও দায়িত্ব।’
এদিকে মোজোটেল এন্টারটেইনমেন্ট এবং ডিস্ট্রিবিউশনের এক্সিকিউটিভ অফিসার সুমনা কাঞ্জিলাল এদিন বাংলাদেশের ভয়াবহতা ব্যাখ্যা করতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি জানান, তার এক বাংলাদেশি হিন্দু বন্ধুকে এবং তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি তার পোস্টে লেখেন, ‘এটা ছাত্র আন্দোলন নয়, দয়া করে আর এটাকে ছাত্র আন্দোলন বলবেন না! এই মাত্র আমি আমার এক নিরপরাধ বন্ধু কে চিরকালের মতো হারালাম।’
তবে দ্রুতই নতুন সরকার দায়িত্ব সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকেও সকল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গঠিত হয়েছে সারাদেশজুড়ে কিছু কমিটিও।
এলএ/এমএস