বাউফল আসনে জোট রাজনীতিতে আলোচনায় এনসিপির শাহিন

9 hours ago 5

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন উঠেছে। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় মহলে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তবে পটুয়াখালীর দুটি আসন পটুয়াখালী-২ (বাউফল) ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) শূন্য রাখা হয়। এতে দুই আসন ঘিরে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা ও রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ।

বাউফল বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, স্থানীয়ভাবে অন্তত ছয়জন সম্ভাব্য প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের জন্য তৎপর ছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যায়ের পরিচিত মুখ। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাদের কারো নাম না থাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। তবে অনেকেই মনে করছেন, বিএনপি এবার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আসনটি জোটের শরিক দলকে ছেড়ে দিতে পারে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে নির্বাচনি জোটের সম্ভাবনা কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনায় রয়েছে। তাই বাউফল আসনে যদি এনসিপির অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিনকে সমর্থন দেয় বিএনপি, তাহলে এটি হবে বিরোধী জোটের মধ্যে কৌশলগত সমন্বয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।

অন্যদিকে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীও সক্রিয় রয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নাম স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছে। ফলে বাউফল এখন কার্যত তিন দলের রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সম্ভাব্য মঞ্চে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে এনসিপি নেতা অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিশ্বাসী। গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের মাধ্যমে এই নির্বাচনকে অর্থবহ করতে চাই। বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে জোটভিত্তিক নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা চলছে, সময়ই বলে দেবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হবে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘বিএনপি যদি বাউফল আসনটি সত্যিই এনসিপির হাতে তুলে দেয়, তাহলে এটি হবে বিরোধী জোটের কৌশলগত সমন্বয়ের একটি বড় দৃষ্টান্ত— যা আসন্ন নির্বাচনে দক্ষিণাঞ্চলের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।’

মাহমুদ হাসান রায়হান/এফএ/জিকেএস

Read Entire Article