বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দেওয়াল লিখন নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ হামলার প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাকৃবি সংসদ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বাকৃবি শাখার নেতারা।
এসময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাকৃবি সংসদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাকৃবি শাখার সভাপতি রিফা সাজিদা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাকৃবি শাখার সভাপতি নিশাত আনজুম মিথিলা যুক্ত বিবৃতিতে জানান, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। সারাদেশে ছাত্র-জনতা নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণে সচেষ্ট রয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাজের প্রধান শর্ত বাধাহীনভাবে নিজের মত প্রকাশের অধিকার। দেশের এরকম একটা সময়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের মতো একটা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা নিন্দনীয় এবং উদ্বেগজনক।
তারা আরও বলেন, দেওয়াল লিখন বা যে কোনো বিষয়ে ভিন্নমত হলে সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ ছিল। কিন্তু তা না করে অফিসে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা এক ধরনের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাকৃবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১২ হাজার টাকার বই, টেলিভিশন, হারমোনিয়াম, টেবিল, ১৫ হাজার টাকার বুক সেলফ, দরজা, আসবাবপত্র, অনার বোর্ড ভাঙচুর করা হয়েছে।
এসময় তারা সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
আসিফ ইকবাল/জেডএইচ/এমএস