বাকৃবিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল

6 hours ago 7

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বৃহত্তর রংপুর সমিতির উদ্যোগে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটায় বৃহত্তর রংপুর সমিতি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে শুরু হয়ে কেআর মার্কেট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘দাবি মোদের একটাই, তিস্তাপারের হিস্যা চায়’, ‘হিস্যা হিস্যা হিস্যা চায় তিস্তাপানির হিস্যা চায়’,‘সফল হোক সফল হোক তিস্তা পাড়ের প্রকল্প’, ‘জাগো বাহে কোনঠে সবাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড আসাদুজ্জামান সরকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাকৃবি শাখার সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মঈন, ছাত্র নেতা
মেজবাউল হকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।

শাখা শিবিরের সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মঈন বলেন, ‘তিস্তা সংকট বর্তমানে বাংলাদেশের একটি জাতীয় সমস্যা। তিস্তা পাড়ের রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম এই পাঁচ জেলার মেহনতি মানুষ, কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুররা তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইনটেরিম সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেও নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও এর বাস্তবায়ন শুরু হয়নি।’

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আমরা যারা উত্তরবঙ্গের মানুষ, আমাদের জীবন ও জীবিকা তিস্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র অন্যায়ভাবে তিস্তার পানি সরিয়ে নিয়ে তাদের কৃষিকাজসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। ফলে তারা শুষ্ক মৌসুমে আমাদের শুকিয়ে মারছে, আর বর্ষা মৌসুমে ভাসিয়ে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এসব কারণে তিস্তা উপকূলের মানুষের জীবন ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা কখনো তাবেদার ছিলাম না, কাউকে
তাবেদারি দিইনি। এখনো আমরা তাদের সঙ্গে সমানে চোখ রেখে কথা বলার সাহস রাখি।

Read Entire Article