বাজেট অল্প, ইচ্ছা থাকলেও ব্যাপক হারে গবেষণা সম্ভব হয় না

21 hours ago 5

বাজেট অল্প হওয়ার কারণে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ব্যাপক হারে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ।

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব না করে কাজের গুরুত্ব বুঝে সব শিক্ষকের মধ্যে গবেষণাগুলো দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের বাজেট খুব স্বল্প। আমরা বছরে মাত্র দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার মতো বাজেট পাই, যার মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়া লাগে‌। ফলে ব্যাপক হারে গবেষণা করার ইচ্ছা থাকলেও তা আর সম্ভব হয় না।’

শনিবার (৮ নভেম্বর) সামুদ্রিক মাছ থেকে উচ্চমানের সুরিমি (এক ধরনের পেস্ট) তৈরি, সুরিমিতে ভ্যালু অ্যাড ও সুরিমি ফিশ প্রোডাক্ট উন্নয়ন শীর্ষক একটি সাব প্রজেক্টের সমাপনী কর্মশালায় উপাচার্য এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এম মহবুবুজ্জামান ভবনের এএসভিএম অনুষদের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

বাজেট নিয়ে একই কথা বলেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘গবেষণার জন্য যখন সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয় তখন সেখানে উল্লেখ থাকে, ৭৫ শতাংশ অপারেশনাল কাজে ও ২৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ বা অন্যান্য দ্রব্যাদি ক্রয়ে ব্যয় করতে হবে। কিন্তু এ অল্প বাজেটে মানসম্মত যন্ত্রাংশ কেনা সম্ভব হয় না। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে গবেষণা কার্যক্রম। আমরা গবেষণায় কাঙ্খিত সাফল্য পেতে ব্যর্থ হচ্ছি।’

আরও পড়ুন
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু
জাকসুর উদ্যোগ: পরিযায়ী পাখির জন্য জাবিতে লেকের সংস্কার কাজ শুরু

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফিসারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজি আহসান হাবিব ও সাউরেস পরিচাক অধ্যাপক ড. এফ এম আমিনুজ্জামান।

সাব প্রজেক্টের প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন শেকৃবির ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মহিবুল্লাহ।

কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে মৎস্যসম্পদের উন্নয়ন। এটা করতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই।’

এমএএস/একিউএফ/জিকেএস

Read Entire Article