বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জিতবে না, ট্রাম্পকে চীন

3 days ago 4

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্বগ্রহণের প্রথমদিনেই মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এদিকে ট্রাম্পের এমন হুমকির জবাবে সোমবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস বলেছে, এই শুল্ক আরোপের ফলে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র বা চীন কেউই জয়ী হবে না।

চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ এক বিবৃতিতে বলেন, চীনের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়ে চীন বিশ্বাস করে যে চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রকৃতিগতভাবেই উভয় পক্ষের জন্য উপকারী।

লিউ পেংইউ বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধ বা শুল্কযুদ্ধে কেউই জয়ী হবে না। এর আগে ট্রাম্প বলেন, চীন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক চোরাচালান বন্ধ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা থাকবে।

এক বিবৃতিতে লিউ বলেন, গত বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার পর চীন মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে।

তবে চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের বিষয়টিকে অনিয়মিত সীমান্ত অতিক্রম এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তার দাবি, এই সমস্যাগুলো সমাধানে মেক্সিকো ও কানাডার ‘সম্পূর্ণ সক্ষমতা’ থাকলেও তারা তা করছে না।

তিনি বলেন, চীন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা তা বাস্তবায়ন করেনি। মেক্সিকোর মধ্য দিয়ে আগে কখনো দেখা যায়নি এমন মাত্রায় মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে।

২০২২ সালে মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৩০ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কার্যকর হলে উত্তর আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ)-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

প্রয়োজন মনে করলে মেক্সিকো ও চীনের ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলেও নির্বাচনী প্রচারের সময় হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

আর এখন ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই শুল্ক আরোপের যে অঙ্গীকার করেছেন, তা বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্রের তিন বড় বাণিজ্য অংশীদারের মধ্যে উত্তেজনা অনেক বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া ট্রাম্পের পদক্ষেপে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহের ধারা ব্যাহত হতে পারে। শুল্কের ফলে চাপে পড়বে তিন দেশের বাণিজ্যও।

টিটিএন

Read Entire Article