বান্দরবানের চার উপজেলায় পর্যটনকেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

3 hours ago 2

পর্যটকদের জন্য বান্দরবান ভ্রমণের দুয়ার খুলছে। টানা এক মাস নিষেধাজ্ঞা থাকার পর পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) থেকে বান্দরবানে চার উপজেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।

তবে এখনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি এ তিন উপজেলা। পর্যায়ক্রমে সেগুলোও পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কনফারেন্স রুমে বান্দরবান পার্বত্য জেলার পর্যটন স্পটসমূহ উন্মুক্তকরণবিষয়ক প্রেস ব্রিফিং এ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মঞ্জুরুল হক, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের ক্যাপ্টেন আব্দুল মান্নান, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু।

শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, নীলগিরি উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে এ ৪টি উপজেলার সঙ্গে নীলগিরি পর্যটনকেন্দ্র সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আর অন্য তিনটি উপজেলা রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভ্রমণের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কখনো চাই না কোনো পর্যটনশিল্প বন্ধ থাকুক। আমরা সবসময় চাই প্রত্যেকটা মানুষের নিরাপত্তা। একটা প্রাণ ঝড়ে যাক সরকার কখনো চায় না। সেদিক বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাথায় রেখে কিছুদিনের জন্য বান্দরবান জেলাসহ তিন পার্বত্য জেলা ভ্রমণে পর্যটকদের বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমিতির সভাপতি কালবেলাকে বলেন, পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়াতে আমরা অনেক খুশি। অপূরণীয় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারব বলে আশা করছি।
 
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি মো. নাসিরুল আলম বলেন, বার বার পর্যটনকেন্দ্র বন্ধে ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম। এখানে অন্য কোন ব্যবসা নেই পর্যটন নির্ভর ব্যবসা ছাড়া। জেলার সব ধরনের পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া উচিত।

গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রায় এক মাসের মতো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় বান্দরবান জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে বিপাকে পড়ে এ খাতের সংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষ।

Read Entire Article