বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাফা) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত প্রশাসককে অবিলম্বে অপসারণ এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা।
সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি এবং প্রয়োজনে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। এ সময় বাফার সাবেক সভাপতি কবির আহমেদ, সাধারণ সদস্য বেলায়েত, কামাল আহমেদ, আজিজুর রহমান মজুমদার, নুরুদ্দীন, জন এন মন্ডল, সাইফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাফা দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় শতভাগ কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং ১ হাজার ১৮৮ সদস্যের এই সংগঠন কাস্টমস, বন্দর, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিপিং লাইন ও এয়ারলাইনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকে। গত জুনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়, যা সংগঠন ও পুরো ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং খাতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত।
তাদের অভিযোগ, প্রশাসক নিয়োগের ৭০ দিন পার হলেও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি, বরং দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘসময় বিদেশে ছুটিতে ছিলেন তিনি। এছাড়া, প্রশাসক এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা তার এখতিয়ারবহির্ভূত।
সদস্যরা আরও বলেন, গ্রস ইনভয়েসে অগ্রিম আয়কর (১.৫০ শতাংশ), ১ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স, চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ ও হ্যান্ডলিং চার্জ বৃদ্ধি, আইজি/ইজিএম জটিলতা—এসব সংকটময় পরিস্থিতিতে একজন অদক্ষ প্রশাসক নিয়োগ সংগঠনের কার্যক্রম ব্যাহত করছে।
বাফার সাধারণ সদস্যরা ২০২২ সালের বাণিজ্য সংগঠন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও তোলেন। তাদের দাবি, আইন অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করার আগে লিখিত নোটিশ প্রদান ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তা মানা হয়নি।
ইএআর/ইএ/এএসএম