বাবার মারধরে মৃত্যু, ভাঙা ছিল ফুটফুটে শিশুর ২৫ হাড়

1 week ago 8

প্রতিনিয়ত আরও সহিংস হয়ে উঠছে পৃথিবী। একের পর এক সামনে আসছে নানা লোমহর্ষক আর ভয়ংকর নির্যাতনের নানা ঘটনা। এবার সামনে এসেছে তেমনি এক নৃশংস ঘটনা। বাবার মারধরে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। এ সময় তার শরীরের অন্তত ২৫টি হাড় ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বুধবার ১০ বছর বয়সী এ  ব্রিটিশ-পাকিস্তানি শিশুর বাবা নিজে মেয়েতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন যে তিনি তিনি মেয়ের কোনো ক্ষতি করতে চাননি। 

এনডিটিভি জানিয়েছে, সারা শরিফ নামের শিশুটিকে ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওকিং এলাকায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তার শরীরে অনেক হাড় ভাঙা ছিল। এমনকি তার শরীরে পোড়া এবং কামড়ের চিহ্ন মিলেছে। 

শিশুটির লাশ পাওয়ার আগের দিন তার বাবা, চাচা ও বোন পাকিস্তানে পালিয়ে যান। তারা তিনজনই এ অভিযোগ অস্বীকার করে অসছিলেন। তবে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তার বাবা অভিযোগ স্বীকার করেন। তিনি সৎমাকে দোষারোপ করে বলেন, তিনিই তাকে হত্যার কথা স্বীকার করতে বাধ্য করেন। 

বুধবার তার স্ত্রীর আইনজীবী বলেন যা ঘটেছে তার সম্পূর্ণ দায় তিনি নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, সারাকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না তার। শিশুটিকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ সে আমার কারণে মারা গেছে। 

শিশুটির বাবা জানান, তাকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মারধর ও গলা টিপে ধরা এবং হাড় ভেঙে দেন। গত ৮ আগস্ট তিনি ব্যাপক মারধর করায় শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ সময় তিনি সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করে বলেন, প্রতিটি জিনিস আমি মেনে নিচ্ছি।   

হত্যার অভিযোগে দোষী নন বলে দাবি করে তিনি বলেন, আমি তাকে আঘাত করতে চাইনি। আমি তার কোনো ক্ষতি করতে চাইনি। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ আগস্ট সারার মরদেহ লন্ডনে পাওয়া যায়। ইসলামাবাদ থেকে তার বাবা ব্রিটিশ পুলিশকে জানান যে তিনি তার মেয়েকে অত্যধিক মারধর করেছেন। এ সময় তার মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে দেখা যায় যে সারার শরীরে অন্তত ২৫টি হাড় ভাঙা রয়েছে। এছাড়া তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কি কারণে সারাকে হত্যা করা হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।  
 

Read Entire Article