বার্জার ও সিএমপির উন্নত কোটিং প্রযুক্তি যমুনা রেল সেতুকে দিচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা

12 hours ago 5

বাংলাদেশের বৃহত্তম রেল সেতু, যমুনা রেল সেতু দেশের পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে নির্মিত হয়েছে। এটি রেল নেটওয়ার্ককে আরও কার্যকর করতে, সড়ক পরিবহনের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহনকে দ্রুততর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) এ প্রকল্পে অর্থায়ন করে। জাপানের আরও দুটি সংস্থা, ওবায়াশি-টিওএ-জেএফই জয়েন্ট ভেঞ্চার ও আইএইচআই-এসএমসিসি জয়েন্ট ভেঞ্চারের সহায়তায় সেতুটির নির্মাণ প্রক্রিয়ায় প্রোটেক্টিভ কোটিংয়ের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে জাপানের চুগোকু মেরিন পেইন্টস লিমিটেড (সিএমপি)। 

প্রকল্পটি জাপানের রোড অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক প্রকাশিত ‘Coating and Anticorrosion Handbook for Steel Highway Bridges 2014.3’ নির্দেশিকা অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এবং চুগোকু মেরিন পেইন্টস লিমিটেড (CMP) একসঙ্গে কাজ করছে এ সেতুর দীর্ঘস্থায়িত্ব ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।

এ প্রকল্পে জাপানি প্রযুক্তির রঙের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, সিএমপি ফ্লুওরেক্স (ফ্লোরোপলিমার কোটিং)-এর প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী স্থায়িত্ব ও প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে এ প্রথমবারের মতো কোনো স্থাপনায় ফ্লোরোপলিমার কোটিং ব্যবহৃত হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা ও স্থায়িত্বের জন্য তৈরি এই কোটিং মরিচা, ক্ষয় এবং কঠিন পরিবেশগত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে অসাধারণ প্রতিরোধ প্রদান করে থাকে। ইস্পাতকে আর্দ্রতা ও অক্সিডেশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি, এ কোটিং শিল্প কারখানার রাসায়নিক উপাদানের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া থেকেও সুরক্ষা প্রদান করে।

বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘যমুনা রেল সেতুতে সিএমপি ফ্লুওরেক্স ফ্লোরোপলিমার কোটিংয়ের সফল প্রয়োগ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি বার্জার ও সিএমপি’র প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের মেলবন্ধনের প্রতিফলন। এ অর্জন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও সুদৃঢ় করবে।’

বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ গুণগত মান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় পেইন্টস খাতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। যমুনা রেল সেতুর নির্মাণে অবদান রেখে বার্জার ও সিএমপি আবারও তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। সিএমপির সহযোগিতায় ফ্লোরোপলিমার কোটিংয়ের ব্যবহার কোটিং ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন একটি বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছে, যা বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বার্জারের ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করেছে।

বার্জারের সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম প্রধান মেরিন কোটিংস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিএমপি-এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ শুরু হয় ২০২০ সালে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে, যা বার্জারকে বাংলাদেশের প্রথম স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আন্তর্জাতিকমানের মেরিন ক্লাস পেইন্ট ও কোটিংস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

এ অংশীদারত্বের মাধ্যমে বার্জার উন্নতমানের মেরিন ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোটিং সলিউশন নিয়ে এসেছে, যা সমুদ্র ও ইস্পাত কাঠামোর সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বার্জার সবসময়ই সর্বাধুনিক সলিউশন প্রদান করে আসছে।

Read Entire Article