বাসা-বাড়িতেও মিলছে পাথর, তিনদিনে জব্দ সাড়ে তিন লাখ ঘনফুট

4 weeks ago 7

সিলেটে তৃতীয় দিনের মতো সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাথর উদ্ধার করা হয়। শনিবার একটি এলাকা থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার স্টোন ক্রাশার মিল ও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। শনিবার দুপুরে ধোপাগুল এলাকার বিভিন্ন ক্রাশার মিল ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পাথর উদ্ধার করা হয়।

জেলা প্রশাসন বলছে, তিন দিনে ৩ লাখ ৬০ হাজার ঘনফুটের বেশি পাথর জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত পাথরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট পাথর পুনরায় সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রে ফেলা হয়েছে। এরমধ্যে সাড়ে ১০ হাজার ঘনফুট পাথর ফেলা হয় শনিবার।

সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াতের নেতৃত্বে ধোপাগুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মহালধিক গ্রামে বসতবাড়ির আশপাশ ও ক্রাশার মিলে বালুমাটি দিয়ে ঢাকা অবস্থায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে।

ইউএনও খোশনূর রুবাইয়াত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধোপাগুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মহালধিক গ্রামে বসতবাড়ির আশেপাশে ও ধোপাগুল এলাকার ক্রশার মিলে বালুমাটি দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় পাথরের সন্ধান মেলে। পাথরগুলো পুনরায় সাদাপাথর এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। পাথর লুটপাট বন্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, শনিবার অভিযানে ৩৯টি ক্রাশার মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আরও কয়েকটি জায়গা থেকে অভিযান চালিয়ে পাথর জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া আজ সাদাপাথর এলাকায় সাড়ে ১০ হাজার ঘনফুট পাথর পুনরায় ফেলা হয়েছে।

একইদিনে গোয়াইনঘাটের ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি এলাকা থেকে ২৫০০ ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করা হয়। গোয়াইনঘাটের ইউএনও রতন কুমার অধিকারীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, তিনদিনের অভিযানে ৩ লাখ ৬০ হাজার ঘনফুটের বেশি পাথর জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত পাথরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট পাথর পুনরায় সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে ফেলা হয়েছে।

আহমেদ জামিল/এমএন/জেআইএম

Read Entire Article