হবিগঞ্জের বাহুবলের জয়পুরে অবস্থিত শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মাতুলালয় শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধামে শ্রী মন্দিরের পুনর্নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করা হয়েছে। একই সঙ্গে শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধামে নাটমন্দিরের স্থায়ী কীর্তন কুঞ্জ নির্মাণ কাজেরও শিলান্যাস হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে শ্রীমন্দির পুনর্নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করেন ঠাকুরবাণী নাথের ত্রয়োদশ বংশাবতংশ প্রভুপাদ শ্রী নিরঞ্জন গোস্বামী ও স্থায়ী কীর্তন কুঞ্জ নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করেন ঠাকুর দ্বিজ বংশের একাদশ পুরুষ প্রভুপাদ শ্রী বাসুদেব গোস্বামী।
এর আগে তিথি অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে চয়ন ভট্টাচার্যরে পৌরহিত্যে ভূমি পূজা শুরু হয়। পাশাপাশি শ্রী রিপন চক্রবর্তী শ্রীমদভাগবত গীতা পাঠ করেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধাম মন্দিরের পূজারি শ্রী রাখাল পাল ও শ্রী দুলাল দাস।
শিলান্যাস পর্ব শেষে মন্দিরের সভাপতি ডা. সত্যকাম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার সিনিয়র অ্যাডভোকেট স্বরাজ রঞ্জন বিশ্বাস, প্রভুপাদ শ্রী নিরঞ্জন গোস্বামী, প্রভুপাদ শ্রী বাসুদেব গোস্বামী, শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক শ্রী রণধীর চক্রবর্তী, শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধামের সিনিয়র সহসভাপতি শ্রী কন্দর্প বিজয় বণিক মিহির, সহসভাপতি শ্রী সুকেশ চন্দ্র দেব, শ্রী দীনবন্ধু দেব, শ্রী রজত দে, শ্রী মিন্টু চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক শ্রী পরিতোষ বণিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (২) শ্রী কাজল কর, অর্থ সম্পাদক শংকর দেব মান্না, দপ্তর সম্পাদক চম্পা ভট্টাচার্য্য, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিষ্ণু দেব বিশাল, সহ-তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্য্য।
এছাড়াও শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধাম মন্দিরের ৪৪তম বার্ষিক উৎসবের সভাপতি শ্রী স্বপন দেব, সাবেক সভাপতি শ্রী ধীরেন্দ্র দত্ত বুলবুল, সহ-সম্পাদক হীরক দেব, ভীষ্মনাথ ভট্টাচার্য্য, দপ্তর সম্পাদক রিপন চক্রবর্তী বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, বাহুবলের ইজ্জতনগর (বানিয়াগাঁও) নিবাসী ভ্রাতৃদ্বয় শ্রী পরিতোষ বণিক ও শ্রী সন্তোষ বণিকের অর্থায়নে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মাতুলালয় শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধামে শ্রীমন্দির পুনর্নির্মাণ হচ্ছে। একই সঙ্গে একই গ্রামের আরেক ভ্রাতৃদ্বয় শ্রী কাজল কর ও শ্রী প্রদীপ করের অর্থায়নে শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধামের নাটমন্দিরে স্থায়ী কীর্তন কুঞ্জ নির্মাণ হচ্ছে। নবনির্মাণ উপলক্ষে এলাকায় উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।