বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এক বাড়ির আঙিনা থেকে তীব্র বিষধর একটি পদ্মগোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার পদ্মগোখরা সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ ফুট।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার হোসেন পাড়া থেকে সাপটি উদ্ধার করেন ‘অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী’র বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্ধারকর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু হাসান মিলন বলেন, আমার নিজ বাড়ির আঙিনায় জালে আঁটকে ছিল পদ্মগোখরা সাপটি। সকালে সাপটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় অ্যানিম্যাল লাভারসদের খবর দেই। পরে অ্যানিম্যাল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার ও স্থানীয় পরিবেশ কর্মী, পৌরসভা কর্মী ও বনবিভাগ যৌথভাবে সাপটিকে উদ্ধার করে অবমুক্ত করেন।
অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী টিমের রেসকিউ অ্যান্ড রিলিজ উইং প্রধান আসাদুল্লাহ হাসান মুছা জানান, এই সাপটির বৈজ্ঞানিক নাম Naja kaouthia এবং ইংরেজিতে monocled cobra সাপটি গোখরা প্রজাতির একটি সাপ, যা দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় দেখা যায়। খবর পেয়ে আমরা রেস্কিউ টিম নিয়ে আজকে এই তীব্র বিষধর সাপটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছি।
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন, কুয়াকাটা (উপরা)-এর সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মিরাজ বলেন, জালে পেঁচানো অবস্থায় রাস্তার পাশে একটি সাপটি আটকে রয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি সাপটি আটকে আছে জালে। সাপটিকে দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমিয়ে আছেন। তবে কেউ এটাকে মারেনি। সচেতন থাকার জন্য স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানাই। পরে আমরা প্রশিক্ষিত টিমকে খবর দেই তারা এসে আমাদের সহযোগিতায় সাপটিকে উদ্ধার করে। পরে বন বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করি।
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আহ্বায়ক কেএম বাচ্চু বলেন, পদ্মগোখরা একটি বিষধর সাপ হলেও এটি পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই মানুষ যেন সাপকে অকারণে হত্যা না করে বরং প্রকৃতির অংশ হিসেবে সুরক্ষিত রাখে।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কেএম মনিরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, পদ্মগোখরা বাংলাদেশের অন্যতম ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ। তবে এটি সাধারণত মানুষের উপস্থিতি এড়িয়ে চলে। সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেকেই অকারণে সাপ মেরে ফেলেন। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। তাই আমরা উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা করে অবমুক্ত করেছি।