বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষে নিহত সাকিব-তাহমিদ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষে নিহত সাকিব-তাহমিদ হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মরল কেন, বিএনপি-ছাত্রদল জবাব দে’, ‘এক-দুই-তিন-চার, সন্ত্রাসীরা বাংলা ছাড়’, ‘তুমি কে? আমি কে?, তাহমিদ-সাকিব’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা রক্তাক্ত বাংলাদেশ চাইনি। এমন একটি দেশ চাই, যেখানে হত্যা সন্ত্রাস থাকবে না, সবাই নিরাপদে থাকবে। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা করায় আমাদের ভাই তাহমিদকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে—আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে নামি, আর পরে দেখতে হয় সাকিব-তাহমিদ নিহত হচ্ছে। যারা পেশিশক্তি দেখাচ্ছে তাদের সতর্ক করছি- এ দেশ সবার, কেউ এটাকে নিজের সম্পত্তি ভাবলে তাকে দেশ ছাড়তে হবে। ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের
বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষে নিহত সাকিব-তাহমিদ হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মরল কেন, বিএনপি-ছাত্রদল জবাব দে’, ‘এক-দুই-তিন-চার, সন্ত্রাসীরা বাংলা ছাড়’, ‘তুমি কে? আমি কে?, তাহমিদ-সাকিব’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা রক্তাক্ত বাংলাদেশ চাইনি। এমন একটি দেশ চাই, যেখানে হত্যা সন্ত্রাস থাকবে না, সবাই নিরাপদে থাকবে। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা করায় আমাদের ভাই তাহমিদকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে—আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে নামি, আর পরে দেখতে হয় সাকিব-তাহমিদ নিহত হচ্ছে। যারা পেশিশক্তি দেখাচ্ছে তাদের সতর্ক করছি- এ দেশ সবার, কেউ এটাকে নিজের সম্পত্তি ভাবলে তাকে দেশ ছাড়তে হবে।
ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাহসান হাবিব বলেন, বিজয়ের মাসে দাঁড়িয়ে আমরা বিজয়ের কথা বলতে পারছি না। কেন আমরা নিহত হবো, তার কারণ জানার অধিকার আমাদের আছে। বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এসেছিল- আমরা তাকে বিদায় করেছি। এখন কেউ আবার সেই পথ ধরতে চাইলে তারও একই পরিণতি হবে। ইন্টারিম সরকার এত হত্যাকাণ্ডের পরও কেন নীরব?
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পর এ দেশে ছাত্রদল প্রথম খুনের রাজনৈতিক নিয়ে এসেছে। আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই বিএনপি বা ছাত্রদল হাসিনা হতে চায় কিনা। তারেক রহমান এসব খুন, গুমের লাগাম ধরবেন কিনা? যদি এসব লাগাম না ধরেন, তাহলে ক্ষমতা যাওয়ার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে মাদক সেবন ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়ে চার দিন আইসিউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান কলেজটির শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানা। অন্যদিকে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে নিহত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য গাজী তাহমিদ খান।
সোহেল রানা/কেএইচকে/এমএস
What's Your Reaction?