বিএনপি নেতার নাম থাকায় মামলা না দেওয়ার অভিযোগ

8 hours ago 5

নারায়ণগঞ্জ আদালতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের জুনিয়র ও মহুরীর বিরুদ্ধে এক নারীকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানিসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারধরের ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, গত দুদিন ধরে থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কার্যালয়ে গিয়েও মামলা করা যায়নি। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম থাকার কারণে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না।

এর আগে রোববার (২৬ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রকাশ্যে রাজিয়া সুলতানা (৩৮) নামের এক নারীকে প্রকাশ্যে মারধর, শ্লীলতাহানিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একইসঙ্গে মারধরে রাজিয়া সুলতানার স্বামী ইরফান মিয়া (৪২), তার ছেলে জিদান (১৭) ও শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (৫) আহত হন। এ ঘটনার পরপরই রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।

এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, যখন মারধর করা হচ্ছিল, তখন একটি শিশুকে ‘বাবা বাবা’ বলে দৌড়াচ্ছে।

ঘটনার বিবরণে রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার জুনিয়ররা ও মুহুরী মিলে আমাদের ওপড় হামলা করে। তারা আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর এবং আমার শ্লীলতাহানি করে। আমার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন তারা। আমার শিশু সন্তানকে মারধর করেছে।’

আরও পড়ুন:
আদালতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মারধর-শ্লীলতাহানির অভিযোগ

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় দুইদিন পার হলে গেলেও এখনো পুলিশ মামলা নেয়নি। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিনগত গভীর রাত পর্যন্ত থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দৌড়াদৌড়ি করেও মামলা গ্রহণ করানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলে, মামলা থেকে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম বাদ দিতে হবে। অন্যথায় এই মামলা গ্রহণ করা হবে না। আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘রাতের মধ্যেই মামলা হবে। একই ঘটনায় দুইটি এজাহার করা হয়েছে। যে কারণে আমরা যাচাই-বাছাই করছিলাম আসলে ঘটনা কী? মামলা নিয়ে নেবো। কে কতটুকু কী করছে না করছে, মামলা নিলে বাকিটা তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।’

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/এএসএম

Read Entire Article