বিএনপি নেতার সহযোগিতায় ভারতে পালালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

3 hours ago 6

ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিচুর রহমান মিঠু মালিথাকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা সমালোচনা। বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ আনিচুর রহমান মিঠু মালিথার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় দুটি ও ঢাকায় একটি মামলা রয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। সর্বশেষ গত কয়েকদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ নেতা জেলার মহেশপুরে অবস্থান করছিলেন। মহেশপুরে অবস্থানকালীন সময়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার আশ্রয়ে থাকতেন তিনি। স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা জিয়ার অফিস ও প্রেস ক্লাবে বসতে দেখেছেন বলে জানান। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজুলের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা। এ খবর পেয়ে সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে স্থানীয় জনতা। পরে বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পালাতে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। 

মহেশপুরের স্থানীয় সংবাদকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৫ আগস্টের পরে মহেশপুর উপজেলা পরিষদের সামনে কয়েকদিন আনিচুর রহমান মিঠু মালিথাকে দেখেছেন। বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার সঙ্গে বেশ সখ্যতা আনিচুর রহমান মিঠু মালিথার। সর্বশেষ ৪ দিন আগেও তাকে মহেশপুরে দেখেছেন। মহেশপুর উপজেলা পরিষদের সামনে একটি প্রেস ক্লাবেও মিঠু মালিথাকে বসতে দেখেছেন তিনি। 

জেলা কৃষকদলের সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ শাওকী তার ফেসবুকে লেখেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মহেশপুর বর্ডার দিয়ে একাধিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা এবং কর্মীরা ভারতে পালিয়ে গেছে বলে গেছে বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মহেশপুরের বোয়ালিয়া গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজুলের বাড়িতে পাচারের জন্য প্রস্তুত ছিল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিন্টুর ক্যাডার নামে পরিচিত মিঠু মালিথা। খবর পেয়ে এলাকার জনসাধারণ বাড়িটা ঘিরে ফেলে এবং তাকে পুলিশে দেওয়ার জন্য খবর দেয়। কিন্তু আগেই খবর পেয়ে শীর্ষস্থানীয় সুবিধাভোগী নেতারা দ্রুত সেখানে ছুটে যায় এবং জনগণের কাছ থেকে মিঠু মালিথাকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে পালাতে সাহায্য করে। এ ঘটনায় প্রশাসন কেন নীরব ভূমিকা পালন করছে তা রহস্যজনক।

মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর আনিচুর রহমান মিঠু মালিথার সঙ্গে মহেশপুর শহরে অনেকদিন দেখা হয়েছে। শুনেছি তিনি তার খালাতো ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। তাকে ভারতে পালাতে কোনো সহযোগিতা করিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এ তথ্যগুলো ছড়াচ্ছে।

কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন বলেন, আনিচুর রহমান মিঠু মালিথার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা রয়েছে। 

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা জানান, উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে পাইনি। পুলিশ যাওয়ার আগেই তিনি পালিয়ে গেছে।

Read Entire Article