বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে সংস্কারের ব্যাপারে সবক নিতে হবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যত সংস্কার হয়েছে তার ৯০ শতাংশ বিএনপি বাস্তবায়ন করেছে। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফায়ও তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। যশোর শহরের একটি হোটেলে ‘খুলনা বিভাগের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আমীর খসরু বলেন, সংস্কার অনেক দলের কাছে নতুন কিছু হতে পারে, তবে বিএনপির জন্য নতুন কিছু না। বিএনপি একমাত্র দল, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ৯০ শতাংশ সংস্কার যা করা হয়েছে সেটা বিএনপিই করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ যেখানে এসেছে, তা বিএনপির সংস্কারের কারণেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংস্কারের মাধ্যমে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সরকারচালিত অর্থনীতি থেকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপ দিয়েছেন। প্রতিটি পদক্ষেপে সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ এখানে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, তখন আমরা একটি শক্তিশালী অর্থনীতি দাঁড় করেছিলাম। সেটা অব্যাহত থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতো। কিন্তু বিগত সময়ে লুটপাট করে বাংলাদেশের অর্থনীতি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ভ্যাট ও শুল্ক আরোপে সাধারণ মানুষ আরও চাপে পড়বে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, মানুষ নিত্যপণ্যের দামে নাকাল হয়ে পড়েছে। অনেকের দৈনন্দিন জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে মূল্যস্ফীতির কারণে। এ কর ও ভ্যাটের কারণে অনেক মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে যাবে। ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে যা আয় হবে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ব্যয় হবে মানুষগুলোকে দারিদ্র্যসীমা থেকে টেনে তুলতে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকারকে বলছি, এ কর ও ভ্যাট প্রত্যাহার করুন। আপনাদের এখন করা উচিত, স্বৈরাচার সরকারের বাজেট বাতিল করা। আপনারা এখন অন্তর্বর্তী বাজেট ঘোষণা করুন। কারণ স্বৈরাচারের বাজেট তো দুর্নীতির বাজেট।
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্প উদ্যোক্তা সালিমুল হক কামাল, বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মাহমুদুল হাসান বাবুল, বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান।
মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন যশোর চেম্বারের কর্মকর্তা শ্যামল দাস। সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা নিজ নিজ জেলায় বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।