বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু

3 hours ago 5
ভোলার লালমোহনে বাজার দখল নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত আবু তৈয়ব চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি বদরপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  জানা গেছে, গত ১৮ নভেম্বর সকালে বদরপুর ইউনিয়নের বিএনপির (উত্তর) সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার গ্রুপ ও যুবদলের সাবেক সভাপতি কামাল হুইচ গ্রুপের মধ্যে দেবিরচর বাজার ইজারার দখল নিয়ে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে শহিদুল্যাহ মেলকারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কামাল হুইচ গ্রুপকে আক্রমণ করে। পরে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে উভয় পক্ষের মনজু হাওলাদার, রশিদ হাওলাদার, হাচান কবির সুইচ, শাওন ওয়ার্ড যুবদল সম্পাদক আবু তৈয়ব গুরুতর আহত হয়।  গুরুতর আহত শাওন ও আবু তৈয়বকে প্রথমে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বদরপুর (উত্তর) বিএনপির সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার জানান, ৫ আগস্টের আগে ওই বাজার থেকে চেয়ারম্যান আসাদ উল্যাহ মেলকার ইচ্ছামতো টোল আদায় করত। পরে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে স্থানীয় বিএনপির নেতৃত্বে স্বাভাবিকভাবে টোল আদায় শুরু হয়। বাজারটির টোল কালেকশন আবার পুনরুদ্ধার করতে তারা স্থানীয় ও বহিরাগত ক্যাডার দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বিএনপি ও নব্য বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে শহিদুল্যাহ মেলকারসহ তার ছেলে লোকমান, নাতি শাওন, আবু তৈয়ব, মাকসুদ উল্যাহকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। আবু তৈয়ব ও শাওনকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে সেখানে আবু তৈয়ব মারা যায়।  শহিদুল্যাহ মেলকার বলেন, বাজার লুটপাট করতে সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হুইচকে ব্যবহার করে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা আওয়ামী লীগকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।    এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মারামারির পর ওইদিনই মামলা হয়েছে। মামলায় কামাল হুইচসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 
Read Entire Article