বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট প্রকৃতপক্ষে নোট অব চিটিং

4 hours ago 8

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট প্রকৃতপক্ষে নোট অব চিটিং। আর জামায়াত মুখে জুলাই সনদের কথা বললেও তারা নিম্নকক্ষে পিআরের কথা বলে আসন নিয়ে দরকষাকষি করছে। এটা এক ধরনের ভণ্ডামি।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা মোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় যুবশক্তির আয়োজনে ‌‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন কোন পথে?’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন নতুন গেজেটে আমাদের শাপলা কলি প্রতীক দিয়েছে। কমিশন এটি কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করেছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে শাপলা প্রশ্নে আমরা আপসহীন। কমিশনকে শাপলা সম্পৃক্ত করে নতুন গেজেট দিতে হবে। আমরা শান্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। অন্যথায় কমিশন কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে, তা আদায় করে নেবো।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম অনৈক্যের সৃষ্টি করেছে বিএনপি। ঐকমত্য কমিশনে দলটি নোট অব ডিসেন্ট নোট অব চিটিং। আমরা মনে করি সুপারিশকৃত সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে সরকারকে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

তিনি অভিযোগ করেন বিএনপি পিএসসিতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে ভাইয়াগিরি করার জন্য। নতুন বাংলাদেশে এমনটি করতে দেওয়া হবে না। ঐকমত্য কমিশনে বিএনপি কিচ্ছু করতে চাইলে তরুণরা প্রতিহত করবে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির বিষয়ে একটি দল সংসদের কথা বলেছে। তারা জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট চায়। আরেকটা দল নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছে। তবে আমরা গণভোট চাই। তবে নভেম্বরে হতে হবে এমনটি চাই না। শহীদ মিনারে গিয়ে ড. ইউনূসকেই আইনি ভিত্তি দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে আমরা মানবো না।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, জাতীয় পার্টির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। জামায়াত বুঝাতে চায় তারা সংস্কারের পক্ষে। আসলে তারা বাস্তবে কিছু আসন ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য এ ধরনের কথা বলছে। আর বিএনপি সরাসরি বিপক্ষে। সে হিসেবে বিএনপি কিছুটা পরিষ্কার। তিনি মনে করেন বিএনপি ও জামায়াত মুখে বিরোধের কথা বললেও তারা আসন নিয়ে দরকষাকষি করছে। জামায়াত একাত্তর ভুল করেছে, এখনও ভূত চেপেছে। সে ক্ষেত্রে এনসিপির সম্ভাবনা জায়গায় তৈরি হয়েছে।

আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা বলেন, আমরা জুলাই সনদে সই করতে চাই। তবে তার আগে বাস্তবায়নের পথরেখা সুস্পষ্ট করতে হবে। সেটি নিয়ে আবারও আলোচনা করতে হয়। এটি দুঃখজনক।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন জমিদারি আচরণ করছে। এটি অগ্রহণযোগ্য। শাপলাই হবে এনসিপির প্রতীক। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারি করতে হবে। জুলাই সনদের অবস্থানের কারণে প্রমাণিত হয় আগামীতে এনসিপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে।

সেমিনারের সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয় যুবশক্তির মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল।

এনএস/জেএইচ

Read Entire Article