বিএনপি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দলটির ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এ গণতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আড়াইহাজার উপজেলার উচিতপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। এসময় নজরুল ইসলাম আজাদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
আড়াইহাজার থানা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, থানা বিএনপির সেক্রেটারি জুয়েল আহমেদ, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক হানিফ মেম্বার ও ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, তারেক রহমানের সৈনিকেরা ভয় পায় না। তারা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে জানে। বিগত আন্দোলনে সারাদেশে তার নজির দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। আজকে বিএনপির বিরুদ্ধে কালিমা লেপনের ষড়যন্ত্র চলছে। এর বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদেরকে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হতে হবে। দখল ও চাঁদাবাজি সহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। বেঈমানি ও মুনাফেকি করা যাবেনা। ঈমাদারিত্ব ও দলের আমানত ঠিক রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি সুখী সমৃদ্ধ সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবাইকে সেজন্য মাদকমুক্ত, চাঁদাবাজি মুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে হবে। তারেক রহমান সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ গঠন করতে চান। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
নজরুল ইসলাম আজাদ অন্তর্বতীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জনগণের সমর্থনে এসেছেন। জনগণ আপনাদের কাছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। যেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তারা নিজের ভোট নিজে দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। জনগণ ভোটের সরকার চায়, গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আপনারা সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তবেই আপনাদের সম্মান এবং আপনাদের প্রতি জনগণের ভালোবাসা অক্ষুন্ন থাকবে।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে তার সবগুলোই মিখমিথ্যা ও সাজানো। সকল মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এধরনের ভুয়া ও মিথ্যা মামলা বাংলার জনগণ আর মেনে নিবেনা। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। তবে তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। আওয়ামী প্রেতাত্মাদের কঠোরভাবে শায়েস্তা করতে হবে। তাদেরকে কোনো ধরনের সংঘাত তৈরির সু্যোগ দেওয়া যাবেনা। সকলে মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।