বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাসব্যাপী গ্রামীণ আনন্দ মেলায় মারধরের ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারমানসহ বিএনপির ২৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাল্টাপাল্টি এ অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া মেলা বন্ধের দাবিতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর গোলাম মোস্তফা মুকুলসহ ৪৩৩ জন এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল হক বাচ্চু, ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু, ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী, মন্নাফ সরকার, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবুর নামে রামকৃষ্ণপুর গ্রামে আনন্দ মেলার অনুমতি নেওয়া হয়।
গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কার্যলয় থেকে এই মেলার অনুমতি নিয়েছে আয়োজক কমিটি। মেলা আয়োজনের কার্যক্রম চলাকালে শনিবার উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ভূতবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন মেলায় অশ্লীল নাচগান পরিবেশনে নিষেধ করে। এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন আহত হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হক বাচ্চা ও বেলাল হোসেন বাবুসহ বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগে মারধর করে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মেলায় যাত্রা সার্কাসে অশ্লীল নাচগান না চালানোর জন্য বলার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজক কমিটির লোকজন হামলা চালায়। এতে দুজন আহত হয়। আমরা এই মেলা বন্ধের দাবি করছি।
বিএনপি নেতা ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবুর পক্ষে মেলা আয়োজক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক আহমেদ বাদী হয়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বাদী অভিযোগে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির কথা উল্লেখ করেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, অভিযোগ দুটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।