বিএসিএসএএফের ৬৫তম বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

1 month ago 12

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্কলারস অ্যান্ড ফেলোস কমনওয়েলথ স্কলারস অ্যান্ড ফেলোস সামিট : টুওয়ার্ডস আ নলেজ হাব শীর্ষক একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ব্রিটিশ কাউন্সিলে কমনওয়েলথ স্কলারশিপের ৬৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিশ্বব্যাপী ৬৫ বছরের প্রভাব : কমনওয়েলথ পরিবর্তন নেতাদের ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক।

সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্কলারস অ্যান্ড ফেলোম কমনওয়েলথ স্কলারস অ্যান্ড ফেলোস (বিএসিএসএএফ)-এর সভাপতি প্রফেসর বোরহান উদ্দিন খান।

বাংলাদেশে কমনওয়েলথ স্কলারস এবং ফেলোসদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের বিএসিএসএএফের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সমন্বিত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে জাতির টেকসই উন্নয়ন সাধনে এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বানও জানান তিনি।

বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস তার বক্তব্যে তিনি বিসিএসিএসএএফ এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের অংশীদারত্বের গুরুত্ব এবং এই সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষা ও উন্নয়নমূলক লক্ষ্য অর্জনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

বিএসিএসএএফের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেন, এই সামিট কমনওয়েলথ স্কলারস এবং ফেলোসদের একত্রিত করে বিএসিএসএএফের ছায়াতলে নিয়ে আসবে। যারা এখনো বিসিএসিএসএএফের সদস্য হননি তাদের তিনি এই অ্যালামনাই কমিউনিটিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমনওয়েলথ স্কলার প্রফেসর এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত। এসময় তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, ফেলোশিপের গুরুত্ব এবং জাতি গঠনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি কমনওয়েলথ স্কলার এবং ফেলোসদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য প্রশংসা করেন এবং তাদের মধ্যে আরও সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এ ছাড়াও তিনি কমনওয়েলথ ফেলো এবং স্কলারদের মধ্যে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যাতে তাদের সম্মিলিত প্রভাব সর্বাধিক হয়।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা দিনব্যাপী বিভিন্ন গ্রুপ এবং রাউন্ডটেবিল আলোচনা সেশনে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে বাংলাদেশ ও বিশ্বের ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের দক্ষতা প্রয়োগ করার জন্য একটি নলেজ হাব তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেন। কীভাবে সিএসসির অব্যাহত অংশগ্রহণ ভবিষ্যৎ স্কলারদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে এবং পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষে আরও সহায়ক হতে পারে, স্কলার এবং ফেলোরা সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

সামিটের সহসংগঠক এবং বিএসিএসএএফের কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ এম ইসতিয়াক অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশনকে ইভেন্টটির আর্থিক সহায়তা, ব্রিটিশ কাউন্সিলকে ভেন্যু প্রদানের জন্য এবং বিএসিএসএএফের সকল সদস্য, স্বেচ্ছাসেবী এবং মিডিয়া কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, এই সামিটের মাধ্যমে বিএসিএসএএফের নলেজ হাবের যাত্রা শুরু হলো, যা স্কলারস এবং ফেলোসদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এবং তাদের দক্ষতা শেয়ার করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, এই সামিটে ১২০ জন শীর্ষস্থানীয় কমনওয়েলথ স্কলার এবং ফেলো বিভিন্ন পেশা ও ক্ষেত্র থেকে অংশগ্রহণ করেন।

Read Entire Article