বিক্রির জন্য বাজারে আনা সেই শিশুর ঠাঁই হলো শিশু পরিবারে

1 month ago 10

সংসারে অভাবের কারণে সম্প্রতি রাঙ্গামাটির বনরুপা বাজারে সাত বছরের এক শিশুকে বিক্রি করতে আসেন তার মা। ক্রেতার সঙ্গে দরদামও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তবে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বাধা দেন। এ ঘটনার ভিডিও কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে।

ওই শিশুটির পাশে এগিয়ে এসেছেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার। শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে রাঙ্গামাটি সরকারি শিশু পরিবারে তুলে দেন তিনি।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শিশুটির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালিত সরকারি শিশু পরিবারের কাছে তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম ও শিশুটির মা মানু মারমা সহ অন্যান্যরা।

শিশুরটির নাম অংমাথিং মারমা (৭)। সে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার ছোট ডলুপাড়ার চাইতমং মারমার মেয়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‌‘জেলা পরিষদ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আজ শিশুটিকে গ্রহণ করেছি। এখন থেকে শিশুটি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত সরকারি দায়িত্বে থাকবে।’

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসায় খোঁজখবর নিই। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরিবারের সম্মতিতে শিশুটিকে শিশু পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে সে সেখানে থেকে পড়ালেখা করবে। তার যাবতীয় দেখাশোনা জেলা পরিষদ ও জেলা সমাজ সেবা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিশুটির মা অসুস্থ। চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা জেলা পরিষদ বহন করবে।’

এর আগে শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাঙ্গামাটির বনরুপা বাজারে শিশুর মা মানু মারমা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার মেয়েকে বাজারে বিক্রি করতে আনেন। একজন ক্রেতার সঙ্গে ২০ হাজার টাকা দরদামও ঠিক করেন। পরে বাজারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারলে তারা বাধা দেন। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

আরমান খান/এসআর/এমএস

Read Entire Article