বিক্ষোভে অনুপ্রবেশকারীর ঢুকে পড়েছে, দাবি নেপালের জেন-জিদের
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু জুড়ে টহল দিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। কয়েক দশকের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে নেপালে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিসংতার পর শহরজুড়ে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। খবর বিবিসি
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বিক্ষোভকারীরা সরকারি বাসভবন ও পার্লামেন্টে হামলা চালানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের মারধর করেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে চাপে পড়ে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
বিক্ষোভের আহ্বান জানানো ‘জেন জি’ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। তারা দাবি করেছে, যে উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তা বিরোধীপক্ষ ও সুবিধাবাদীরা হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছে।
বুধবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে শান্ত পরিবেশ দেখা গেলে পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে এবং রাস্তার পাশে পুড়ে যাওয়া যানবাহনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছে সেনাবাহিনী। সতর্ক করে তারা জানিয়েছে, যদি কেউ এখন সহিংসতা এবং ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পর পরিস্থিতি শান্ত রাখতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় নেপালে বিক্ষোভ শুরু হয়। সোমবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়। পরে মঙ্গলবার এ ঘটনা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং এটি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রূপ নেয়। তবে অনেক বিক্ষোভকারী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এই বিক্ষোভে অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে।
গতকাল নেপালের জেন-জির আয়োজিত বিক্ষোভে সরকারের কাছে জবাবদিহি, স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানানো হয়। তারা জানায়, এই বিক্ষোভ ছিল পুরোপুরি সহিংসতা মুক্ত এবং তা এখনো অব্যাহত আছে।
জেন-জি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে। এ ছাড়া বুধবার তাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি রাখা হয়নি। এজন্য তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে কারফিউ বাস্তবায়নের দাবি জানায়।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রাজারাম বাসনেট বিবিসিকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা চালাচ্ছি। বিশেষ করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা বন্ধে কাজ করে যাচ্ছি।