বিচার প্রক্রিয়া মোকাবিলা করার সাহস থাকলে দেশে আসুন

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেওয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিলের সুযোগ রয়েছে তাদের। তবে এজন্য তাদের গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণ করতে হবে। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, তাদের (শেখ হাসিনা ও কামাল) যদি বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া মোকাবিলা করার সাহস থাকে, আমরা বলবো তারা দেশে আসুক। বাংলাদেশে এসে এই রায় অনুযায়ী তারা আত্মসমর্পণ করে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে তারা যদি যুক্তি দিয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন আমাদের তো কোনো সমস্যা নেই। আইন আইনের গতিতেই চলবে। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও মামলায় আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী আমির হোসেন এমন কথা জানিয়েছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামিরা যদি আত্মসমর্পণ না করেন রাইট অব আপিল থাকবে না। ৩০ দিন সময় আছে। আইন অনুযায়ী আজ (স

বিচার প্রক্রিয়া মোকাবিলা করার সাহস থাকলে দেশে আসুন

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেওয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিলের সুযোগ রয়েছে তাদের। তবে এজন্য তাদের গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণ করতে হবে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, তাদের (শেখ হাসিনা ও কামাল) যদি বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া মোকাবিলা করার সাহস থাকে, আমরা বলবো তারা দেশে আসুক। বাংলাদেশে এসে এই রায় অনুযায়ী তারা আত্মসমর্পণ করে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে তারা যদি যুক্তি দিয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন আমাদের তো কোনো সমস্যা নেই। আইন আইনের গতিতেই চলবে।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও মামলায় আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী আমির হোসেন এমন কথা জানিয়েছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামিরা যদি আত্মসমর্পণ না করেন রাইট অব আপিল থাকবে না। ৩০ দিন সময় আছে। আইন অনুযায়ী আজ (সোমবার) থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তারা আপিল করতে পারবেন। অর্থাৎ, আজ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তারা যদি এসে আত্মসমর্পণ করেন তাহলে তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড ও রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এ রায় বিটিভিসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

রায়ের পর সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল প্রসঙ্গে বলেন, আমার পক্ষে এ মামলায় আপিল করার সুযোগ নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার ক্লায়েন্টরা সারেন্ডার করবেন অথবা অন্য কোনোভাবে গ্রেফতার হবেন। এর আগ পর্যন্ত আপিলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর কোথাও পলাতক বা দণ্ডিত আসামি গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণ ছাড়া আপিলের সুযোগ নেই।

কিন্তু পলাতকরা কেউ আপিল দায়ের করতে পারবেন না। কারণ পলাতক ব্যক্তির আইনগত কোনো অধিকার থাকে না। আপিল করতে হলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশে এসে আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং জেলে গিয়ে তিনি তখন সুপ্রিম কোর্টের কাছে তার সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে পারবেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের হলে আমাদের আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে- সুপ্রিম কোর্ট আবার সেই আপিলটা পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি করবেন।

এফএইচ/এএমএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow