বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে জামায়াত নেতাকে অব্যাহতি

4 hours ago 5

বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা জামায়াতের রোকন সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন শিকদারকে দলীয় দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে বিষয়টি যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে পেশাগত অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর জরুরি সভায় বসেন জেলা ও পৌর জামায়াত নেতারা। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। যদিও সরাসরি নিশ্চিত তথ্য পাইনি, তবু যেহেতু জেলা আইনজীবী সমিতি তার সদস্যপদ স্থগিত করেছে; তাই আমরাও একই পদক্ষেপ নিয়েছি। কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকালে কলাপাড়ায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার (২৬১/২৫) আসামির জামিনের জন্য বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকা সংবলিত একটি খাম ও মামলার নথিপত্র পাঠান পিপি রুহুল আমিন। এ ঘটনায় বিচারক নীলুফার শিরিন নিজেকে অপমানিত বোধ করে বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
বিচারক অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, এর আগেও একই মামলার এক আসামির জামিনের জন্য রুহুল আমিন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এবার সরাসরি বাসায় ঘুষ পাঠানোয় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে বাধ্য হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, পিপি রুহুল আমিন আগেও বিভিন্ন মামলায় আসামিপক্ষের হয়ে তদবির করেছেন এবং আদালতের আদেশ প্রত্যাশামতো না হলে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করেছেন। আলোচিত ‘জুলাই শহীদ জসিম কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলা’তেও (৩৭/২৫) তিনি আসামিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতি জরুরি সভা আহ্বান করে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তার প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সমিতির লিখিত সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসক, দুদক, আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Read Entire Article