বিজেএস থেকে বাদ পড়া ১৩ প্রার্থীকে গেজেটভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় গেজেট থেকে বঞ্চিত ১৩জন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর গেজেটভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করেন তারা। এতে গেজেট বঞ্চিতদের দ্রুত গেজেটভুক্তি এবং যোগদান নিশ্চিতকরণ, পাশাপাশি প্রাক-নিয়োগ জীবনবৃত্তান্ত যাচাই প্রক্রিয়ার সংশোধন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। এসময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মারিশা আক্তার জিতন বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী এখন যদি আমরা মেধার মূল্যায়ন না করি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ভাই-বোনেরকে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েও গেজেটভুক্ত করা হয়নি, এ অবিচার টি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আজকে আমরা দাঁড়িয়েছি অনতিবিলম্বে তাদেরকে গেজেটভুক্ত করে সসম্মানে চাকরিতে বহাল করার দাবি নিয়ে। আরেক শিক্ষার্থী এম এইচ বকুল বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমরা আশা করেছিলাম, একটি ন্যায়, সাম্য ও শান্তির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে; যেখানে কোনো ধরনের বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু ১৭তম জুডিশিয়াল গেজেটে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইয়েরা সুপারিশপ্রাপ
১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় গেজেট থেকে বঞ্চিত ১৩জন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর গেজেটভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করেন তারা।
এতে গেজেট বঞ্চিতদের দ্রুত গেজেটভুক্তি এবং যোগদান নিশ্চিতকরণ, পাশাপাশি প্রাক-নিয়োগ জীবনবৃত্তান্ত যাচাই প্রক্রিয়ার সংশোধন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।
এসময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মারিশা আক্তার জিতন বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী এখন যদি আমরা মেধার মূল্যায়ন না করি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ভাই-বোনেরকে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েও গেজেটভুক্ত করা হয়নি, এ অবিচার টি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আজকে আমরা দাঁড়িয়েছি অনতিবিলম্বে তাদেরকে গেজেটভুক্ত করে সসম্মানে চাকরিতে বহাল করার দাবি নিয়ে।
আরেক শিক্ষার্থী এম এইচ বকুল বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমরা আশা করেছিলাম, একটি ন্যায়, সাম্য ও শান্তির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে; যেখানে কোনো ধরনের বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু ১৭তম জুডিশিয়াল গেজেটে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইয়েরা সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা চাই, এই চাকরিতে ন্যায়, সাম্য ও সমতার ভিত্তিতে একটি সত্যিকারের স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে উঠুক।
এসময় আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শাহরুখ মাহমুদ দাবি জানিয়ে বলেন, এই বিজেএসের নিয়োগ বোর্ডে যারা ছিল এবং কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন, সেই সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও উপাচার্য, প্রশাসন ও রাকসুর প্রতিনিধিদের বলবো— আপনারা সোচ্চার হোন। আজ যদি মেধাবীরা অবমূল্যায়ন হয়, তাহলে এই ফ্যাসিস্ট কালচার থেকে যাবে এবং বিগত দিনের ফ্যাসিস্ট রেজিমের মতো বীজ বুনবে।
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ ওয়াহিদ বলেন, ‘ন্যায়’, ‘বৈষম্য’ ‘মেধাভিত্তিক’ শব্দগুলোর মানদণ্ড মোতাবেক নির্দিষ্ট অর্থ আছে। অবিলম্বে বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, মানববন্ধনে আইন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মনির হোসেন মাহিন/কেএইচকে/জেআইএম
What's Your Reaction?