বিজেপিকে আরএসএসের কটাক্ষ

3 months ago 44

ভারতে সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ৪০০টিরও বেশি আসনে জয়ের দাবি তুলেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা গেছে, ২৫০ আসনও পায়নি তারা। অন্যদিকে, বারাণসীতে মোদীর জয়ের ব্যবধানও বিরাটভাবে কমে গেছে। কেন এমন হলো? ভারত ভিত্তিক হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) এক আরএসএস নেতা স্পষ্ট বলে দিলেন, অহংকারী হয়ে পড়লে এমনটাই হয়।

তৃতীয়বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। গঠন করেছেন এনডিএ জোট সরকার। সবই ঠিক আছে, কিন্তু এই নির্বাচনে বিজেপি বা তাদের জোট যে ফল করেছে তাতে সামগ্রিকভাবে গেরুয়া শিবিরের ভিত যে নড়ে গেছে তা মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত কারও নাম না করে বলেছিলেন, দুটি পক্ষ থাকে। বিরোধীরা থাকেন। তারা শত্রু নন। তারা প্রতিপক্ষ। তারা একটি মত জানাচ্ছেন। সেটাও সবার জানা উচিত। ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মর্যাদাটা হারিয়ে যাওয়া উচিত নয়। এমনকি, ভোটের প্রচারে যে পরপর মিথ্যাচার করা হয়েছে, তা নিয়েও পরোক্ষভাবে সরব হয়েছে আরএসএস।

বিজেপির এই ফল নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। তার বক্তব্য, যারা রামের ভক্ত (বিজেপি) তারা অহংকারী হয়ে উঠেছিল। তাই এমন ফল হয়েছে। অহংকারের জন্যই সবচেয়ে বড় বলে স্বীকৃত দলটি মাত্র ২৪১ আসনেই আটকে গেছে।

এবারের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে অযোধ্যায় হেরে গেছে বিজেপি। সেখানেই গত জানুয়ারি মাসে ঘটা করে রাম মন্দির উদ্বোধন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এই হার স্পষ্টত বিজেপি শিবিরকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, অযোধ্যা তো বটেই গোটা উত্তরপ্রদেশেই হেরে গেছে বিজেপি।

বিরোধী শিবির তাহলে ২৩৪ আসন পেলো কীভাবে? এই প্রসঙ্গে আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের দাবি, তারা তো রামবিরোধী। তাই বিরোধী জোট কোনোভাবেই জিততে পারতো না। তাই তারা ২৩৪ আসনে আটকে গেছে। আর অহংকারী না হয়ে পড়লে অনায়াসে এই লোকসভা নির্বাচনের ফলও হতো গেরুয়া।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদে করে গেছেন, তা নজিরবিহীন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কোনো প্রধানমন্ত্রী এমনটি করেননি। আর এ কারণেই এবারের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি।

সূত্র: পিটিআই

এসএএইচ

Read Entire Article