বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে যেসব বিধি মানতে হবে

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশন, সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান উঁচু ভবনগুলোতে বৃহদাকারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)-এর বিধি ৩ অনুযায়ী, জাতীয় পতাকা গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যের নয়-বিংশতিতম অংশ হতে অঙ্কিত উল্লম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদবিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু হবে। জাতীয় পতাকা বিধি অনুযায়ী, কোনো যানবাহন, রেলগাড়ি বা নৌযানের খোল, সম্মুখ ও পশ্চাৎভাগ জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদন করা যাবে না। অন্য পতাকার সঙ্গে উত্তোলন করা হলে বাংলাদেশের পতাকা অন্য পতাকার ডানদিকে আড়াআড়িভাবে থাকবে। বাংলাদেশের পতাকাদণ্ডটি অন্য পতাকাদণ্ডের সম্মুখভাগে স্থাপিত হবে। বাংলাদেশের পতাকার ওপরে অন্য কোনো পতাকা

বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে যেসব বিধি মানতে হবে

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশন, সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান উঁচু ভবনগুলোতে বৃহদাকারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)-এর বিধি ৩ অনুযায়ী, জাতীয় পতাকা গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যের নয়-বিংশতিতম অংশ হতে অঙ্কিত উল্লম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদবিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু হবে।

জাতীয় পতাকা বিধি অনুযায়ী, কোনো যানবাহন, রেলগাড়ি বা নৌযানের খোল, সম্মুখ ও পশ্চাৎভাগ জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদন করা যাবে না। অন্য পতাকার সঙ্গে উত্তোলন করা হলে বাংলাদেশের পতাকা অন্য পতাকার ডানদিকে আড়াআড়িভাবে থাকবে। বাংলাদেশের পতাকাদণ্ডটি অন্য পতাকাদণ্ডের সম্মুখভাগে স্থাপিত হবে। বাংলাদেশের পতাকার ওপরে অন্য কোনো পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। দুই বা ততোধিক দেশের পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতিটি পতাকা পৃথক পৃথক দণ্ডে উত্তোলন করতে হবে এবং পতাকাগুলো প্রায় সমান আকারের হবে।

দণ্ড ব্যতীত অন্যভাবে কোনো দেয়ালের ওপর প্রদর্শনের ক্ষেত্রে দেয়ালের সমতলে পতাকা প্রদর্শন করতে হবে। মিলনায়তন বা সভায় প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বক্তার পেছনে ওপরের দিকে পতাকা প্রদর্শন করতে হবে। রাস্তার মধ্যখানে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে পতাকা খাড়াভাবে প্রদর্শন করতে হবে।

কবরস্থানে জাতীয় পতাকা নিচু করা বা ভূমি স্পর্শ করানো যাবে না। কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর দিকে পতাকা নিম্নমুখী করা যাবে না। কখনোই পতাকা নিচের মেঝে, পানি, পণ্যদ্রব্য বা কোনো বস্তুতে স্পর্শ করানো যাবে না। পতাকা কখনোই অনুভূমিকভাবে বা সমতলে বহন করা যাবে না। সর্বদাই ঊর্ধ্বে এবং মুক্তভাবে রাখতে হবে।

সহজেই ছিঁড়ে যেতে এবং ময়লা বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এমনভাবে পতাকা উত্তোলন, প্রদর্শন, ব্যবহার বা সংরক্ষণ করা যাবে না। কোনো কিছু গ্রহণ, ধারণ, বহন বা বিতরণ করার জন্য পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। পতাকা যথাযথ সম্মানের সঙ্গে উত্তোলন এবং সসম্মানে নামাতে হবে।

মোটরগাড়ি, নৌযান ও উড়োজাহাজ ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা উত্তোলিত থাকবে। তবে রাতের বেলায় সংসদ অধিবেশন বা রাষ্ট্রপতি অথবা মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলাকালে পতাকা উত্তোলিত রাখা যাবে।

মোটরগাড়িতে জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের জন্য গাড়ির চেসিস অথবা রেডিয়েটর ক্যাপের ক্ল্যাম্পের সঙ্গে পতাকাদণ্ড দৃঢ়ভাবে আটকাতে হবে। পতাকার ওপর কোনো কিছু লেখা বা ছাপানো যাবে না।

এসব নিয়মসহ অন্যান্য নিয়ম এবং সময়ে সময়ে পরিবর্তিত বিধি অনুসরণ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা যাবে।

একিউএফ/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow