রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটায় নিহত হন আবুল কালাম আজাদ নামের এক পথচারী। দুর্ঘটনার দীর্ঘ সাড়ে ২২ ঘণ্টা পর ফার্মগেট স্টেশন দিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। তবে বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের গতি অনেক কম। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যেও কথাবার্তা চলছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক দুপুর ১২টার দিকে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশন থেকে উঠে সচিবালয় স্টেশনে নামেন। পথিমধ্যে বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনের গতি ছিল ঘণ্টায় মাত্র ১০ কিলোমিটার। অন্য স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে যেতে স্বাভাবিক গতি ছিল ৭০ কিলোমিটার গতি পর্যন্ত।
বিজয় সরণি স্টেশন পার হওয়ার পরই মেট্রোরেলের গতি গঠাৎ কমে যায়। এ নিয়ে ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যেও কথাবার্তা শোনা যায়। এক যাত্রী বলেন, আগেও বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের গতি কম ছিল। তবে গতকাল দুর্ঘটনার পর গতি আরও কমে গেছে।
এক যাত্রী গুগল ম্যাপে গতি পরীক্ষা করে দেখেন বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট স্টেশনের গতি মাত্র ১০ কিলোমিটার। কিন্তু অন্য স্টেশনের গতি ৭০ কিলোমিটার।
আরেক যাত্রী বলেন, হয়তো ঝুঁকি রয়েছে এজন্য কম গতিতে চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) (উপসচিব) উপ প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী জাগো নিউজকে বলেন, ফার্মগেট স্টেশনে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তারা বলেছে আগের চাইতে স্পিড (গতি) কমানো হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে এর কারণ বা ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবো না।

রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিয়ারিং প্যাড খসে পড়লে আবুল কালাম নামের এক যুবক মারা যান। এ ঘটনার পরপরই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিকে থেকে আগারগাঁও-উত্তরা অংশে এবং সন্ধ্যায় শাহবাগ-মতিঝিল অংশে ট্রেন চলাচল করতে দেখা যায়। তবে দুর্ঘটনার পর থেকেই আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
এর আগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হলেও সেবার কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
কম্পন প্রতিরোধের জন্য সেতু বা উড়াল সেতুতে এই ইলাস্টোমোরিক বিয়ারিং প্যাড বসানো থাকে। এ প্যাড নিওপ্রেন বা প্রাকৃতিক রাবার দিয়ে তৈরি, যা পিয়ার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো হয়। কোনোটির ভেতরে কয়েক পরতে থাকে স্টিলের কাঠামো, আর উপরে থাকে রাবার। এগুলো ওজনে অনেক ভারী হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে ওই প্যাড পড়ে একজন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ফুটপাতে একটি চায়ের দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নিহত ব্যক্তির পরিবারকে নগদ ৫ লাখ টাকা ও পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেয় সরকার। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
টিটি/এমআইএইচএস/এএসএম

2 hours ago
4









English (US) ·