বিজয়–সৈকত ইস্যুতে ‘জিরো টলারেন্স’—কঠোর অবস্থানে বিসিবি

বিপিএলের দ্বাদশ আসরকে সামনে রেখে নিলাম তালিকা প্রকাশ হতেই সবচেয়ে বড় আলোচনায় চলে আসে কয়েকজন অভিজ্ঞ স্থানীয় ক্রিকেটারের নাম বাদ পড়া। এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতসহ কয়েকজনের হঠাৎ অনুপস্থিতি শুধু সমর্থকদের নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যেও প্রশ্ন তুলেছে—আসলে কী ঘটছে? সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সামনে এসে সেই প্রশ্নগুলোর জবাবই দিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু, পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন একটাই বার্তা—বিসিবি নিয়মে অচল, সন্দেহ থাকলে কোনো ছাড় নয়। ফিক্সিং সন্দেহে কিছু ক্রিকেটারের নাম লাল তালিকাভুক্ত রয়েছে—এ তথ্য নিশ্চিত করে মিঠু বলেন, “যতক্ষণ দোষী প্রমাণিত না হয়, কাউকে দোষী বলা যাচ্ছে না। তবে লাল তালিকায় যারা আছে, তারা নিলামে থাকতে পারবে না। আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েই এগোচ্ছি।” এর পাশাপাশি দলগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—হোটেল, ড্রেসিংরুম বা দলের আশপাশে যারা থাকবে, সবার নামের তালিকা আগে জমা দিতে হবে। সেই তালিকাও ছাড়পত্র পাবে দুর্নীতি দমন ইউনিটের অনুমোদনের পর। নিজেদের নাম না থাকায় বিজয়–মোসাদ্দেকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে এ বিষয়ে মিঠুর সুর ছিল যথেষ্ট দৃঢ়। তিনি বলে

বিজয়–সৈকত ইস্যুতে ‘জিরো টলারেন্স’—কঠোর অবস্থানে বিসিবি
বিপিএলের দ্বাদশ আসরকে সামনে রেখে নিলাম তালিকা প্রকাশ হতেই সবচেয়ে বড় আলোচনায় চলে আসে কয়েকজন অভিজ্ঞ স্থানীয় ক্রিকেটারের নাম বাদ পড়া। এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতসহ কয়েকজনের হঠাৎ অনুপস্থিতি শুধু সমর্থকদের নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যেও প্রশ্ন তুলেছে—আসলে কী ঘটছে? সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সামনে এসে সেই প্রশ্নগুলোর জবাবই দিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু, পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন একটাই বার্তা—বিসিবি নিয়মে অচল, সন্দেহ থাকলে কোনো ছাড় নয়। ফিক্সিং সন্দেহে কিছু ক্রিকেটারের নাম লাল তালিকাভুক্ত রয়েছে—এ তথ্য নিশ্চিত করে মিঠু বলেন, “যতক্ষণ দোষী প্রমাণিত না হয়, কাউকে দোষী বলা যাচ্ছে না। তবে লাল তালিকায় যারা আছে, তারা নিলামে থাকতে পারবে না। আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েই এগোচ্ছি।” এর পাশাপাশি দলগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—হোটেল, ড্রেসিংরুম বা দলের আশপাশে যারা থাকবে, সবার নামের তালিকা আগে জমা দিতে হবে। সেই তালিকাও ছাড়পত্র পাবে দুর্নীতি দমন ইউনিটের অনুমোদনের পর। নিজেদের নাম না থাকায় বিজয়–মোসাদ্দেকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে এ বিষয়ে মিঠুর সুর ছিল যথেষ্ট দৃঢ়। তিনি বলেন,“তারা প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। কিন্তু নিলামে কাকে নিব, কাকে নিব না—এটা গভর্নিং কাউন্সিলের এখতিয়ার। লাল তালিকা মানেই আমরা রাখব না।” তার মতে, নিলাম কোনো স্বয়ংক্রিয় অধিকার নয়—“ক্রিকেট খেললেই যে নিলামে নিতে হবে, এমন নিয়ম নেই। বিদেশি হিসেবে ৫০০ জন আবেদন করেছিল, আমরা নিয়েছি ২৬০ জন। এখানেও একই নীতি।” মিঠু আবারও পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন—বিসিবি এখনই কাউকে দোষী সাব্যস্ত করছে না। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন—“আমরা বলছি না তারা দোষী। তথ্যগুলো অ্যালেক্স মার্শালের মতো বিশ্বের সেরা বিশেষজ্ঞের কাছে গেছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা তাদের খেলতে দিতে পারি না—এতে ক্রিকেটে ভুল বার্তা যাবে।” বিপিএলের মতো জনপ্রিয় টুর্নামেন্টে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। তবে বিসিবির বার্তা স্পষ্ট—আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গায় কোনো আপস নয়। লাল তালিকার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিথিলতার সুযোগও নেই। বিজয়–সৈকতদের ভবিষ্যৎ এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে সেই তদন্তের ওপর। আর বিসিবি চাইছে, মাঠের ক্রিকেট যেন থাকে সন্দেহমুক্ত—নির্মল, প্রতিযোগিতামূলক ও বিশ্বাসযোগ্য।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow